দেশে কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে : ডা. জাফরুল্লাহ

Looks like you've blocked notifications!
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

দেশে কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর এসেছেন। তিনি গদবাঁধা নানা কথা বলছেন। তিনি বলছেন, সীমান্তে বিনাবিচারে আর মানুষ মারা হবে না। কিন্তু ফেলানি হত্যার বিচার কি হয়েছে? সীমান্তে প্রতি সপ্তাহে আমাদের মানুষকে হত্যা করছে।’

এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘ভারত কানেকটিভিটি চাচ্ছে। কানেকটিভিটি কি? গুজরাটের পণ্য আসামে যেতে পারে না। তারা আমাদের উপর দিয়ে পণ্য নিয়ে যাবে। তারা সুলভ মূল্যে খাবে। আমার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশের উপর দিয়ে যাবে; এটা হতে পারে না।’

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডা. জাফরুল্লাহ এ কথা বলেন। লেখক সাংবাদিক মোশতাক আহমেদ হত্যার প্রতিবাদে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কালাকানুন উল্লেখ করে আগামী ২৬ মার্চের মধ্যেই এ আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, নিরাপত্তার জন্য দেশে অন্য অনেক আইন আছে, প্রয়োজনে সেগুলো সংশোধন করুন। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের নামে প্রতারণা করবেন না। এটি অবশ্যই কবর দিতে হবে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ব্যাংক লুট, শেয়ারবাজার লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এখন প্রায় এক হাজার মানুষকে কারাগারে রাখা হয়েছে।’

একটি কার্টুন আঁকলে কী এমন ক্ষতি হয়- প্রশ্ন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘কারাগারে মোশতাক আহমেদকে বিনা চিকিৎসায় মরতে হয়েছে। এখন কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যদি চিকিৎসা দেওয়া না হয়, এ কারণে তার যদি মৃত্যু হয় তাহলে এজন্য কে দায়ী হবে? সরকারকে এর দায় নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুও তাঁর বইতে কারাগারে চিকিৎসা ভালো না থাকার বিষয়টি লিখে গেছেন। এখনও দেশের কারাগারগুলোতে ভালো চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। জরুরি ইসিজি, হার্টের চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। এগুলোর উন্নয়ন না করা বঙ্গবন্ধুকেই অসম্মান করার সামিল।’

দেশে ১৯৭৪ সালের মতো দুর্ভিক্ষের আভাস দেখা যাচ্ছে জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘দুর্যোগের ঘনঘটা দেখতে পাচ্ছি। মার্কিন খাদ্য সংস্থার রিপোর্ট মতে, দেশে এ বছর এক মেট্রিক টন ধান কম উৎপাদন হয়েছে, গম কম উৎপাদন হয়েছে সাত মেট্রিক টন। এজন্য দেশে আবার বঙ্গবন্ধুর ’৭৪-এর আমলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সরকার বাইরে থেকে খাদ্য আমদানির চিন্তা করছে, কিন্তু যে কৃষকরা আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে তাদের কথা চিন্তা করছে না। বরং নিজ দলের ব্যবসায়ীদের প্রণোদোনা দিচ্ছেন। যারা লুটপাটের রাজা।’

বিরোধী দলের উদ্দেশে গণস্বাস্থ্যের এই ট্রাস্টি বলেন, এখন সময় এসেছে সব দলমতের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামার। দেশে পরিবর্তন ছাড়া শান্তি আসবে না। আপনারা ঘরে বসে থাকবেন না, রাজপথে নেমে আসুন।

এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহেরের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণস্বস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা মাওলানা শওকত আমিন, মনিরুজ্জামান মনির, এ কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।