করোনার এই দুর্যোগময় সময়ে মানবিক সহায়তা এবং ত্রাণের আওতার বাইরে কেউ নেই বলে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকার সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাই সহায়তা পাবেন। আপনাদেরকে ধৈর্য ধরে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। এই সরকার জনবান্ধব ও গণমুখী । সরকার সবসময় আপনাদের পাশে আছে।

কৃষিমন্ত্রী আজ বুধবার টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর পাইস্কা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় এ কথা বলেন। করোনা থেকে নিরাপদে থাকতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে মন্ত্রী ৩০০ দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।

কৃষিমন্ত্রী এ সময় ধনবাড়ি-মধুপুরের জনগণের উদ্দেশে বলেন, মহামারী করোনার কারণে সারাবিশ্বের মানুষ আজ আতঙ্কিত। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে আপনারা সাবধানে থাকবেন যাতে করোনাক্রান্ত না হন।

পরে কৃষিমন্ত্রী ধনবাড়ী পৌরসভার মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপনের উদ্যোগে কলেজ মাঠে আরো ৩০০ দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।

এ ছাড়া বিকেলে কৃষিমন্ত্রী টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় আড়াই হাজার দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মধ্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ বিতরণ করবেন।

পরে কৃষিমন্ত্রী ধনবাড়ী উপজেলা মিলনায়তনে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সঙ্গে করোনা প্রতিরোধ, ত্রাণ বিতরণ এবং ধান কাটা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। সভায় কৃষিমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশনাগুলোকে সঠিকভাবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা আহ্বান জানান। 

এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, সরকার ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এ ক্ষেত্রে অনিয়মকে কোনোরকম প্রশ্রয় দিচ্ছে না। এরমধ্যে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই দুঃসময়ে মহাদুর্যোগে মানবিকতা ভুলে যারা ত্রাণ বিতরণে অনিয়মে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা সিদ্দিকা, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-এএসপি) কামরান হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।