দেশে দ্বিগুণ হারে বাড়ছে করোনা রোগী
দেশে প্রথম বারের মতো গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর মাঝে দুদিন কেউ শনাক্ত হয়নি। কিন্তু তারপর থেকেই প্রায় প্রতিদিন দ্বিগুণ হারে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগী।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত নিয়মিত এক বুলেটিনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক জানান, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া একজন মৃত্যুবরণ করেছে।
প্রথম দিকে শুধু আইইডিসিআর করোনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করত। এ কারণে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল কম। এরপর ঢাকার আরো আটটি ও ঢাকার বাইরে আটটিসহ মোট ১৬টি স্থানে ল্যাব স্থাপন করে নমুনা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ এপ্রিল নতুন নয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানানো হয়। এরপর ক্রমেই সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ৫ এপ্রিল ১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এর পরের ৬ এপ্রিল সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ২৯ জনে। ৭ এপ্রিল বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৪১ জনে, ৮ এপ্রিল বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৫৪ জনে ও সর্বশেষ আজ সবচেয়ে বেশি নতুন ১১২ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়। দেশে আজ পর্যন্ত ৩৩০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে আজ একজনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন।
আজ রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত নিয়মিত এক বুলেটিনে এ তথ্য জানান সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ১১২ জনের মধ্যে শুধু ঢাকা শহরেই রয়েছেন ৬২ জন। নারায়ণগঞ্জে ১৩ জন এবং অন্যান্য জেলায় মোট ৩৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরো বলেন, ‘নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৭০ জন এবং নারী ৪২ জন। বয়স হিসেবে ১০ বছরের নিচে তিনজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে নয়জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৩ জন এবং ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক ১১ জন রয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ঢাকায় ৬১৮ জন ও ঢাকার বাইরে ৪৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া আজ ৬০ বছরের বয়সী একজন মারা গেছেন।’