দেশে প্রথমবার এমআইসিএস পদ্ধতিতে হার্টের ডাবল ভালভ প্রতিস্থাপন

Looks like you've blocked notifications!

দেশে প্রথমবারের মতো দুই থেকে তিন ইঞ্চি ফুটো করে মিনিমালি ইনভ্যাসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি (এমআইসিএস) পদ্ধতিতে হার্টের ডাবল ভালভ প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করেছেন একদল তরুণ চিকিৎসক।

গত মঙ্গলবার হাসিনা বেগম নামের ৩০ বছর বয়সী এক তরুণীর দেহে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক সিয়ামের অধীনে এই সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। এই অস্ত্রোপচারে আট থেকে ১০ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন এবং চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময়ে তা সফলতার সঙ্গে শেষ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি লেখেন, এই ডাবলভালভ অপারেশন হার্টের অত্যন্ত জটিল অপারেশন এবং এই এমআইসিএস পদ্ধতিতে মাত্র দুই থেকে তিন ইঞ্চি ফুটো করে ভালভ প্রতিস্থাপন সারা বিশ্বেই অত্যন্ত বিরল।

এ ব্যাপারে চিকিৎসক সিয়াম বলেন, সারা বিশ্বে হাতে গোনা কয়েকটি  হাসপাতালে এই ধরনের আধুনিক পদ্ধতিতে এই অপারেশন হয়ে থাকে। আজ আমরাও সেই মাইলস্টোনে পা দিতে পেরেছি এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পেরেছি। এখন আর বিদেশে নয়, বিদেশিরাই আমাদের দেশে হার্টের চিকিৎসা নিতে আসবে ইনশাআল্লাহ।

আশরাফুল আলম খোকন আরও লেখেন, সারা বিশ্ব এখন চিকিৎসাবিজ্ঞানে এগিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাক্রমে আমরা ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট এমআইসিএস পদ্ধতিতে সরকারিভাবে প্রথম হার্টের ফুটো অপারেশনের মাধ্যমে পথচলা শুরু করি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে ও সহযোগিতায় আজ আমরা দেশে প্রথমবারের মতো আমআইসিএস পদ্ধতিতে মাত্র দুই থেকে তিন ইঞ্চি ফুটো করে ডাবল ভালভের মতো জটিল অপারেশন করতে পেরেছি, তাই তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই যেন এই দেশে ভবিষ্যতে হার্টের ট্রান্সপ্লান্ট শুরু করতে পারি।

কার্ডিয়াক সার্জনস সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম এই অপারেশনের জন্য ডা. সিয়ামকে অভিনন্দন জানাই। হার্টের চিকিৎসায় এটি একটি যুগান্তকারী মাইলফলক।’

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মীর জামালউদ্দিন বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, আমরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এ ধরনের কসমেটিক সার্জারি শুরু করতে পেরেছি। এই পদ্ধতিতে অপারেশনের সুবিধা হলো, রোগীর রক্তক্ষরণ কম হয়, ব্যথা কম অনুভব হয়, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়ি যেতে পারে।

এই অপারেশনে অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন অ্যানেসথেটিকস হিসেবে অধ্যাপক ডা. শাহনাজ, সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাম, সহকারী অধ্যাপক ডা. রোমেনা রহমান, ডা. আসিফ আহসান চৌধুরী, ডা. ইমরান, ডা. মঞ্জুর ডা. ওয়াহিদা, ডা. সায়েম, ডা. রুবাইয়াত ও ডা. সৌরভ।