দেশে সব ধর্মের মানুষ সর্বোচ্চ অধিকার ভোগ করছে : আইনমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিশ্বজয়ী হাফেজদের সংবর্ধনা ও জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা- ২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি : সংগৃহীত

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার দেশের সকল মানুষের কাছে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের ধর্মীয় অধিকারও প্রদান করেছে। ফলে দেশে সব ধর্মের মানুষ সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তাদের ধর্মীয় অধিকার ভোগ করছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশের সুনাম নিয়ে গর্ববোধ করছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিশ্বজয়ী হাফেজদের সংবর্ধনা ও জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা- ২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিনই তাঁর সরকার আলেম-ওলামাগণের মর্যাদা রক্ষার পাশাপাশি কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান আহরণ এবং তার প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রেখে যাবেন।

আনিসুল হক বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুই প্রথম আলেম-ওলামাগণের কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান অর্জন এবং তার প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কাকরাইল মসজিদের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাঁর পিতার আদর্শ অনুসরণ করে অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি ইসলামী অঙ্গনের শত বছরের স্বপ্ন ও দাবি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেড় শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী কওমি মাদ্রাসাকে বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং এর সর্বোচ্চ সনদকে মাস্টার্সের সমমান প্রদান করেছেন। নতুন ধারার দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে অসংখ্য কওমি আলেমের কর্মসংস্থান করেছেন। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে এর অধীনে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ প্রতিটি প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু কন্যার এইসব অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে হাজার বছরের ইতিহাসে তুলনাহীন অবদান ৬৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের গৌরবজনক কর্মটি প্রধানমন্ত্রীর নামকে বাংলাদেশের শাসন ও নেতৃত্বের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখবে ইনশাআল্লাহ।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু, হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা ইয়াহইয়া তালুকদার, ফাউন্ডেশনের আহবায়ক মোহাম্মদ ওমর ফারুক প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সালে বিশ্বজয়ী ১০ জন হাফেজকে সংবর্ধিত করা হয়।