দেশ ঘুরে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেলেন, রেখে গেলেন করোনাভাইরাস
দেশে নতুন করে দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। আইইডিসিআর বলছে, আক্রান্ত দুজনই পুরুষ। তবে এদের ভেতরে একজন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা এক প্রবাসীর মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে তিনি পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। আক্রান্ত আরেকজন ইতালিপ্রবাসী।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআরের সভাকক্ষে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ কথা জানান।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘নতুন করে আক্রান্ত দুজনের মধ্যে একজন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। আরেকজন একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি বিদেশ থেকে এসেছিলেন এমন একজন মানুষের সংস্পর্শে ছিলেন। বিদেশ থেকে আসা ওই ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত ব্যক্তি স্থানীয়। ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৭০ বছর। নতুন আক্রান্ত দুজনই পুরুষ।’
সেব্রিনা ফ্লোরা আরো বলেন, ‘একজন বিদেশ থেকে ফিরেছিলেন। সেই তথ্য আমাদের কাছে ছিল। সেই অনুযায়ী আমরা তাঁর পরিবারের সদস্যদের কন্টাক্ট ট্রেসিং করতে গিয়ে ওই ব্যক্তির মধ্যে লক্ষণ-উপসর্গ দেখতে পাই। বিদেশফেরত ওই ব্যক্তি কিন্তু আবার বিদেশেও চলে গেছেন। বিদেশফেরত ওই দুই ব্যক্তির একজন ইতালি থেকে এসেছিলেন, আরেকজন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছিলেন।’
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পুনরায় বিদেশ চলে যাওয়া ওই ব্যক্তি অল্প কিছু দিনের জন্য দেশে ফিরেছিলেন। তিনি আবার বিদেশে চলে গেছেন। আমরা যখন তথ্য নিয়েছি তখন দেখেছি বিদেশে চলে যাওয়া ওই ব্যক্তির অল্প জ্বর ছিল। তবে তিনি ওই সময় বিষয়টি আমাদের জানাননি। আমরা ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এবং তিনি যে দেশে ফেরত চলে গেছেন আমরা সেই দেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করব, যাতে তাঁকে আইসোলেশনে নেওয়া হয় বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।’
এদিকে আইইডিসিআরের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এসে পুনরায় ফিরে যাওয়া ওই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তিনিও একজন পুরুষ। আবার তাঁর মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিও একজন পুরুষ।
সেব্রিনা ফ্লোরা আরো বলেন, ‘আমরা বারবার সতর্ক করছি, পারিবারিকভাবেও আমাদের হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি দেখা হয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কিন্তু আমরা সংক্রমণ দেখতে পাচ্ছি। সুতরাং এখানে সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি। সচেতনতার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’