ধর্ষণ করে ভিডিও, ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি, যুবক আটক

Looks like you've blocked notifications!
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ এবং ছবি ও ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবির অভিযোগে আটক মো. বেলাল হোসেন মাদবর। ছবি : সংগৃহীত

মাদারীপুরে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ এবং ছবি ও ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবির অভিযোগে মো. বেলাল হোসেন মাদবর (২৬) নামের এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাব। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কাজীকান্দি গ্রাম থেকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বেলাল হোসেনকে আটক করা হয়। গতকাল শুক্রবার রাতে র‌্যাব-৮ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে, ঘটনাস্থল মাদারীপুর শহরে হওয়ায় বেলালকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। বেলাল শরীয়তপুরের পালং থানাধীন কাশাভোগ গ্রামের বাসিন্দা।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ওই কলেজছাত্রী একটি ক্লিনিকে রিসিপশনিস্ট পদে চাকরি করেন। কলেজে যাওয়ার পথে বেলাল হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। পরিচয়ের সূত্রে সিএমএইচে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন বেলাল। এর মধ্যেই গত ২১ জুন দুপুরে ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে চাকরির বিষয়ে আলাপ করার জন্য ফুসলিয়ে মাদারীপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের ‘মোটেল মতি’র একটি কক্ষে নিয়ে যান বেলাল। সেখানে তাঁকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং গোপনে মোবাইলে অশ্লীল ছবি ও নগ্ন ভিডিও ধারণ করেন বেলাল। এ সময় ওই কলেজছাত্রীকে তিন থেকে চার ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে কিছু বললে অথবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে অশ্লীল ছবি ও নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়াসহ মেরে ফেলার হুমকিও দেন বেলাল।

এ ছাড়াও কলেজে যাওয়া-আসার পথে ওই ছাত্রীকে প্রায়ই অশ্লীল ছবি ও নগ্ন ভিডিও দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন অভিযুক্ত বেলাল হোসেন। এতে রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে নগ্ন ভিডিও কয়েকজন বন্ধুকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেন বেলাল। এর প্রতিকার পাওয়ার জন্য গত বুধবার র‍্যাবের মাদারীপুর ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে বেলাল হোসেনকে আটক করে র‍্যাব।

এ ঘটনায় মাদারীপুর সদর মডেল থানায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে বেলালসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর বেলালকে সদর মডেল থানা পুলিশ মাদারীপুর কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।