নওগাঁয় আতিকুর রহমান (৩৫) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের সময় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ি বাজারের মুরগিপট্টিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে, আজ শনিবার নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত আতিকুর রহমান (৩৫) মান্দা উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাজীগোবিন্দপুর বালকাপাড়া গ্রামের মোজাহার আলী মণ্ডলের ছেলে। আহতরা হলেন—কুসুম্বা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনুল হক (৪৫), জিল্লুর রহমান (৩৫) ও আনোয়ার হোসেন (২৮)।

আহতদের মধ্যে আইনুল হকের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

এ ঘটনায় আটক চারজন হলেন—মেহেদী হাসান পাইলট (৩০), তাঁর বাবা আব্দুল মজিদ (৬০), রায়হান (৩০) ও পারুল বিবি (৫০)।

স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দেলুয়াবাড়ি বাজারের প্রতিবন্ধী স্কুলের সামনে দুটি মোটরসাইকেলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অজ্ঞাত মোটরসাইকেলের চালককে মারধর করেন দেলুয়াবাড়ি বাজারের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ।

এসময় হাজীগোবিন্দপুর বালকাপাড়া গ্রামের রুবেল হোসেন বাধা দিলে তাঁকেও মারধর করেন সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনার পরদিন শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে রুবেল হোসেনের বড়ভাই আতিকুর রহমানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এ সময় আতিকুর রহমানকে রামদা ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করে তাঁরা। তাকে বাঁচাতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনুল হকসহ জিল্লুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন এগিয়ে গেলে তাঁদেরকেও কুপিয়ে জখম করে ওই যুবকরা। পরে আহতদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আতিকুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আতিকুর রহমান নিহতের ঘটনায় তাৎক্ষণিক চারজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে নিহতের বাবা মোজাহার আলী মণ্ডল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন বলেও জানান ওসি।