নওগাঁয় খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত ১৮০ বস্তা গম উদ্ধার
নওগাঁর পোরশা উপজেলায় খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত ১৮০ বস্তা গম উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নিতপুর পূর্ব দিয়াড়াপাড়ার রশিদ গোয়ালের বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ট্রাক্টরসহ ১৮০ বস্তা গম উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হামিদ রেজা বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি যে কে বা কারা কালোবাজারে বিক্রির জন্য রাতের আধারে একটি ট্রাক্টরে গম ভর্তি করছে। খবর পেয়ে আমরা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে গমবোঝাই একটি ট্রাক্টর পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পাই। আমরা আশপাশের কয়েকটি বাড়ি তল্লাশি করে দেখেছি কিন্তু সন্দেহজনক কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে ট্রাক্টরটি থানায় নিয়ে গণনা করে দেখা যায়, ১৮০ বস্তা (৯ টন) গম রয়েছে। সব বস্তাতেই খাদ্য অধিদপ্তরের সিল মারা রয়েছে। এখানে প্রশ্ন হলো, খাদ্য অধিদপ্তরের সিল মারা বস্তা কোথায় পেলেন তারা? সরকারি সংগ্রহের হিসাব অনুযায়ী আটক গমের মূল্য দুই লাখ ৫২ হাজার টাকা।’
এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, ‘এ ঘটনার পর পরই আমরা পোরশা উপজেলার নিতপুর খাদ্যগুদাম রাতেই স্টক ও সরকারি বস্তার পরিমাণ গোডাউন চেক করে দেখেছি। কোথাও কোনো গড়মিল পাওয়া যায়নি। সে থেকেই ধারণা করা হচ্ছে বস্তাগুলো তারা খোলা বাজারে বা অন্যকোনোভাবে সংগ্রহ করেছে।’
নিতপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) মো. আবদুল মতিন জানান, খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত ১৮০ বস্তা গম আটকের পর রোববার রাতেই ইউএনও খাদ্য গুদামে উপস্থিত হয়ে গমের ও খালি বস্তার হিসাব নিয়েছেন। এতে কোনো গড়মিল তিনি পাননি।
আবদুল মতিন আরো জানান, চলতি মৌসুমে ১৮৩ দশমিক ৬৫০ মেট্রিকটন এবং আগের ১৬ দশমিক ৬৫০ মেট্রিকটন গম নিতপুর খাদ্যগুদামে মজুদ আছে। আর খালি বস্তার মজুদ আছে ১০ হাজার ৩৫টি। খাদ্য গুদামের হিসাবে গমের মজুদ এবং বস্তার মজুদে কোনো গড়মিল নাই।
এদিকে পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান শাহিন জানান, জব্দ করা ১৮০ বস্তা গম ও ট্রাক্টর থানা পুলিশের হেফাজতে আছে। এজাহার পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ক্যাপশন
নওগাঁর পোরশা উপজেলায় ট্রাক্টরে থাকা খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত ১৮০ বস্তা গম উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি : এনটিভি