নওগাঁয় ২০ কোটি টাকার কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার, আটক ২

Looks like you've blocked notifications!
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা থেকে কাল সোমবার উদ্ধার কষ্টি পাথরের মূর্তি। ছবি : সংগৃহীত

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা থেকে ২০ কোটি টাকা মূল্যের কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মূর্তি পাচারচক্রের দুজনকে আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মূলহোতা কাউছার আলী (৩০) ও তাঁর স্ত্রী সুমি খাতুন (২৮) পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, ৪০ কেজি ওজনের ওই মূর্তিটি উপজেলার খেলনা ইউনিয়নের লোদিপুর (দক্ষিণপাড়া) এলাকার রাজমিস্ত্রী কাউছার আলীর বাড়ির সিঁড়িঘরে লুকানো ছিল। গতকাল সোমবার রাতে সেখান থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন—নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার মধুইল গ্রামের হেলাল উদ্দিন (৬০) ও একই উপজেলার আকবরপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন (৫০)। আটক হেলাল উদ্দিন পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পত্নীতলা উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক কাজী আজ মঙ্গলবার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘পলাতক কাউছার আলী মূর্তি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন তিনি গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন। পরে গতকাল সোমবার রাতে কাউছার আলীর বাসা থেকে ৪০ কেজি ওজনের কষ্টি পাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করা হয়।

ওসি মোজাম্মেল জানান, মূর্তিটি বিক্রির জন্য দেনদরবার চলার তথ্য পেয়ে পুলিশ অভিযানে যায়। অভিযানে মূলহোতা কাউছার আলী স্বস্ত্রীক পালিয়ে যান। এ সময় ৪০ কেজি ওজনের একটি কষ্টি পাথরের মূর্তিসহ হেলাল উদ্দিন ও আলতাফ হোসেনকে আটক করা হয়।

ওসি মো. মোজাম্মেল হক কাজী আরও জানান, উদ্ধারকৃত বিষ্ণুমূর্তির আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে ধামইরহাট থানায় আটককৃত এবং পলাতকদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। ওসি জানান, আটককৃতদের কাছ থেকে কষ্টি পাথরের মূর্তি পাচার সংক্রান্ত অধিকতর তথ্য সংগ্রহের জন্য আটককৃতদের বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।