নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিক্ষুককে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে খলিল খা নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে ওই ভিক্ষুক সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগকারী খলিল খা (৩৫) মস্তফাপুর ইউনিয়নের খৈয়রভাঙ্গা এলাকার রশিদ খার ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর মস্তফাপুরে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন সোহরাব খান।
অপরদিকে আরেক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মজিবর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকে পরাজিত হন। এ নির্বাচনে মজিবর রহমানকে সমর্থন করেন ভিক্ষুক খলিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খলিলকে গত শুক্রবার সকালে মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডে একা পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন বিজয়ী চেয়ারম্যান সোহরাব খানের ভাই আনোয়োর খান, তার ছেলে সজিব খানসহ বেশ কয়েকজন।
পরে এ ঘটনায় ওই ভিক্ষুক বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন।
খলিল অভিযোগ করে বলেন, ‘শুক্রবার সকালে আমি মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডে ভিক্ষা করতে যাই। ভিক্ষা করেই আমার সংসার চলে। বাসস্ট্যান্ডে একা পেয়ে সোহরাব খানের নির্দেশে তার ভাই ও ভাইয়ের ছেলে দলবল নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। আমাকে সবাই মিলে মারধর করে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবিতে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।’
এ ব্যাপারে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সোহরাব খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ভিক্ষুককে আমি মারধর কেন করব। আমি কিছু করিনি। তবে ওই ভিক্ষুকের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছিল, যা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) খসরু এসে মীমাংসা করে দিয়েছেন।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ এইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, ‘থানায় এ বিষয় অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মস্তফা রাসেল বলেন, ‘থানায় যদি অভিযোগ দেয় তাহলে ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত হোক, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’