নবম পে-স্কেলের দাবি সরকারি কর্মচারীদের
২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নবম পে-স্কেলসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদ।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদের মহাসচিব আমজাদ আলী খান।
সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- জাতীয় স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনপূর্বক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ১৯৭৩ সালের ১০ ধাপে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের পার্থক্য ১:৫ হতে হবে। আগের মতো শতভাগ পেনশন প্রথা পুনবহাল করতে হবে। এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি চালুসহ সচিবালয়ের মতো সচিবালয়ের বাইরের সরকারি কর্মচারীদের পদ ও বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। আয়কর বিভাগসহ অন্যান্য দপ্তরের ব্লক পোস্টধারীদের পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। বিভিন্ন দপ্তর/প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন খাতে কর্মরত কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে।
ডাক বিভাগের প্রার্থী প্রথা চালুসহ মাস্টাররোল ও অন্যান্য দপ্তরে কর্মরত মাস্টাররোল, কন্টিজেন্স ও ওয়ার্কচার্জ কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের আগের মতো তিনটি টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও বেতন সমতাকরণ পুনর্বহাল করতে হবে। জীবনযাত্রার মান সমুন্নত রাখার স্বার্থে ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে পেনশনের হার ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ ও গ্রাচ্যুইটির হার এক টাকায় ২৩০ টাকার স্থলে ৪০০ টাকায় উন্নীতকরণ করতে হবে। নবম পে-স্কেল দেওয়ার আগ পর্যন্ত দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির বিষয় বিবেচনা করে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা অবিলম্বে দিতে হবে।
প্রশাসন ক্যাডারে কর্মরত কর্মচারীদের মতো ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের সরকারি কর্মচারীদের বিনা সুদে ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে হবে ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের যোগদানের দিন থেকে সিনিয়রিটি পাওয়ার করা রিট মামলার হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত আদেশ অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর ও অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষার শিক্ষকদের মতো অন্যান্য সব দপ্তরে পোষ্য কোটা চালু করতে হবে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ওয়ারেছ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খায়ের আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদের সভাপতি নিজামুল ইসলাম ভূঁইয়া মিলন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগর কমিটির সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম, কার্যকরী সভাপতি কে বি জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী পরিষদের (১৭-২০ গ্রেড) সভাপতি মতিয়ার রহমান প্রমুখ।
ওয়ারেছ আলী বলেন, আগামী ২ জুন প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের পে-স্কেলসহ সাত দফা দাবি উপস্থাপিত না হলে ৫ জুন সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে।