নরসিংদীতে অর্থ আত্মসাতের মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা কারাগারে
নরসিংদীতে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ সাদি তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অভিযুক্ত এস এম সানিয়েল আরেফিন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা এস এম সানিয়েল আরেফিন নরসিংদীর সাহেপ্রতাব এলাকার ম্যানচেস্টার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি প্রতিষ্ঠানটির নামে জনতা ব্যাংক থেকে প্রায় ১১ কোটি চার লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। কিন্তু ঋণ নিয়েও ম্যানচেস্টার কম্পোজিট টেক্সটাইল ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি। পরে ঋণের দায়ে প্রতিষ্ঠানটি দেওলিয়া হয়ে যায়। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে সচ্ছল করতে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট সুইডেন-বাংলা টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের কাছে ম্যানচেস্টার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলসের ৩০ শতাংশ শেয়ার প্রায় আড়াই কোটি টাকায় বিক্রি করেন ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রি চুক্তি সম্পাদন করে দুই পক্ষ। কিন্তু তিন মাস পার হতে না হতেই ম্যানচেস্টার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলসের পরিচালকরা চুক্তি ভঙ্গ করে মিলটি অন্যত্র বিক্রি করে দেন। একই সঙ্গে সুইডেন-বাংলা টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের কাছ থেকে নেওয়া আড়াই কোটি টাকা ফেরত দিতে অপারগতা জানায়। তারা পাওনা টাকা চাইলে মেরে ফেলারও হুমকি দেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ আগস্ট সুইডেন-বাংলা টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বাদী হয়ে ম্যানচেস্টার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সেচ্ছাসেবক লীগনেতা সানিয়েল আরেফিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আজ দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা সানিয়েল আরেফিন সাতজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
আদালতের বিচারক উভয় পক্ষের কৌঁসুলিদের যুক্তিতর্ক শুনে স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা সানিয়েল আরেফিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং অপর অভিযুক্ত ছয়জনের জামিন মঞ্জুর করেন।
বাদীপক্ষের হয়ে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট এ কে এম মনির হোসেন। বিবাদী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী টুটুল।