নরসিংদীতে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ-গুলিবিদ্ধের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা

Looks like you've blocked notifications!
নরসিংদীর মাধবদী থানা। ছবি : সংগৃহীত

নরসিংদীর মাধবদীতে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ ও গুলিবিদ্ধের ঘটনায় পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গুলিবিদ্ধ মাধবদী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সাবেক কমিশনারের বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মাধবদী পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিকসহ মোট ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

অপরদিকে, মাধবদী পৌর সভার মেয়রের পক্ষে মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আজ শুক্রবার সকালে মাধবদী থানায় এ মামলা করা হয়।

এর আগে গত বুধবার (১৬ জুন) রাতে আওয়ামী লীগের সভায় পৌর মেয়রকে দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন মাধবদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জাকারিয়া ও নূরালাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব আবুল কালাম।

ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, ‘আজ সকালে দুপক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে। এক পক্ষ মাধবদীর পৌর মেয়রকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের বিরুদ্ধে এবং অপর পক্ষ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার বিকেলে মাধবদীর রমনী কমিউনিটি সেন্টারে মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভা চলছিল। ওই সভায় মেয়র মোশারফ হোসেন মানিককে কেন দাওয়াত দেওয়া হয়নি তা নিয়ে উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে মেয়রের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সেখান থেকে মেয়র চলে যান। মেয়র ও তাঁর সমর্থকরা যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ মেয়র সমর্থকদের কটূক্তি করেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক  আনোয়ার হোসেন, তাঁর ছোট ভাই পৌরসভার সাবেক কমিশনার মো. জাকারিয়া ও তাদের সমর্থকরা মিছিল বের করে। মিছিলটি পৌরসভা সংলগ্ন রাধুনী রেস্টুরেন্টের সামনে এলে দুপক্ষের সমর্থকরা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়। এতে পৌরসভার সাবেক কমিশনার মো. জাকারিয়া ও আবলু কালাম নামের দুজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হন।