নরসিংদীতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Looks like you've blocked notifications!
নরসিংদী মডেল থানা। ছবি : সংগৃহীত

নরসিংদী সদরে প্রকাশ্যে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সুজিত সূত্রধরকে (৫৩) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে নিহত সুজিতের ছেলে সুজন সূত্রধর বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় এ মামলা করেন।

মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ চার থেকে পাঁচজনকে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন, হাজীপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ইফসুফ খান পিন্টু (৫৫), তাঁর ভাই মনিরুজ্জামান খান (৪৫), বদর উদ্দিন সরকার (৬০), কাওছার মাহবুব (৩৫), ফেরদৌস সালাউদ্দিন (৩৫), তৌহিদ আক্রাম (৩০), তানভীর সরকার (৩০), রাকিব সরকার (৩২), মামুন মোল্লা (৩৮), দেলোয়ার হোসেন (৩২), তারেক মিয়া (২৫), আকবর মিয়া (২৫), আজমল সরকার (৫০), মাসুম (২৬), শিমুল মাহমুদ (২৪) ও সোহাগ মিয়া (২৫)।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, হাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টুসহ আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে নিহত ইউপি সদস্য সুজিত সূত্রধর একাধিক মামলা করেন। এ কারণে আসামিরা সুজিত সূত্রধরকে বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। 

গত বুধবার সন্ধ্যার পর ইউপি সদস্য সুজিত সূত্রধর বাড়ি থেকে হাজীপুর কাঠবাজারের নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যান। দোকানে ছেলের সঙ্গে ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করেন। 

রাত ৮টার দিকে স্থানীয় হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান পিন্টুর নির্দেশে তাঁর ভাই মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধারাল অস্ত্র নিয়ে সুজিত সূত্রধরের ওপর হামলা চালায়। 

ওই সময় সন্ত্রাসীরা সুজিত মেম্বারকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। 

সেসময় নিহত সুজিতের ছেলে সুজন সূত্রধর ও দোকানের কর্মচারীরা তাঁদের বাধা দিতে এগিয়ে গেলে তাঁদেরকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। এসময় তাঁদের চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসেনি। 

পরে আহত সুজিতকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, ‘সুজিত মেম্বার হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি মাসুম, শিমুল ও সোহাগকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি ও রক্তমাখা কাঠ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া মামলার প্রধান আসামি পিন্টু চেয়ারম্যানসহ বাকিদের গ্রেপ্তারে  অভিযান চলছে।’