নরসিংদীতে থানা হেফাজতে আসামির মৃত্যু

Looks like you've blocked notifications!
নরসিংদীর রায়পুরা থানা। ফাইল ছবি

নরসিংদী রায়পুরা থানা হেফাজতে সুজন মিয়া (৩৫) নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে হাজতখানার রডের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

জানা যায়, সুজন মিয়া রায়পুরা উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। ১৩ বছর আগে পারিবারিকভাবে লাভলী আক্তারকে বিয়ে করেন। সম্প্রতি প্রবাস জীবন শেষ করে দেশে ফিরে আসেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় ও দেশে ফিরে সুজন মিয়া ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এদিকে, স্ত্রী লাভলীকে মোবাইল ফোনে অন্য ছেলেদের সঙ্গে কথা বলা দেখে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। গত শনিবার রাতে পরকীয়া নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয় সুজন মিয়ার। এক পর্যায়ে লাভলীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। পরে সুজন মিয়া পরিবারের লোকজনকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় লাভলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি করা হয় সুজনকে। পরে সোমবার ফরিদপুরের আটরশি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর বলেন, ‘গৃহবধূ লাভলীকে হত্যার ঘটনায় তাঁর মা মালেকা বেগম সোমবার রাতে সুজন ও তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার সুজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠায়। আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

ওসি আজিজুর আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ফের তাঁকে থানা হাজতে নিয়ে আসে। আজ সকালে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য নাস্তা দিতে গেলে সুজনকে হাজতখানার রডের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’