নরসিংদীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত ১, আহত ১০
নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আজগর আলী (৫৫) নামে একজন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। আহতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন মঞ্জুর আলীর ছেলে জামির আলী (৬০), তাহার আলীর ছেলে শাহীন মিয়া (২৬), সামসুল হকের ছেলে বাচ্চু মিয়া (৪৫), আশ্রব আলীর ছেলে চান মিয়া (৬০) এবং জিলানীর ছেলে লিয়াকত আলী (৩০)।
শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের গজারিয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আজগর আলী শ্রীনগর ইউনিয়নের গজারিয়াকান্দি গ্রামের মৃত আশ্রব আলীর ছেলে। তিনি হাজী আ. খালেকের সমর্থক। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খান নূরউদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
জানা যায়, গত ইউপি নির্বাচনে শ্রীনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শাহ আলম মেম্বার ও হাজী আব্দুল খালেক। নির্বাচনে হাজী আব্দুল খালেক বিজয়ী হয়। এর চাপা ক্ষোভে পরাজিত প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় কিছুদিন পর গত ১৩ জুলাই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় উভয়পক্ষের লোকজন। এতে শাহআলম মেম্বারের সমর্থক মফিজ উদ্দিন নামে একজন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এরই জেরে বিজয়ী আব্দুল খালেকের লোকজনের অর্ধশতাধিক কাঁচা-পাকা বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। ওই ঘটনার পর থেকে প্রায় ৪ মাস ধরে এলাকাছাড়া খালেক সমর্থকরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালে নিজ এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে শাহআলম মেম্বারের লোকজন বাধা দেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় খালেক সমর্থক আজগর আলীকে (৫৫) একাধিক টেঁটা দিয়ে আঘাত করলে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. নাসির বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাহ আলম মেম্বার ও খালেক মেম্বারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আজগর আলী নামে একজন নিহত হয়। তার শরীরে ছয়টি টেঁটা বিদ্ধ অবস্থায় সুরতহাল করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।