নরসিংদীতে হাতে টেঁটা দেখলেই গ্রেপ্তার, ৫০০ উদ্ধার
নরসিংদীতে হাতে টেঁটা দেখলেই গ্রেপ্তার করা হবে। পৈশাচিক উপায়ে মানুষকে হত্যা বা আহত করা থেকে বিরত রাখতে এ ঘোষণা দিয়েছেন নরসিংদী পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা ও ভাঙচুর রুখতে গতকাল সোমবার নরসিংদীর চরাঞ্চলে টেঁটা উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ৫০০ টেঁটা উদ্ধার করা হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৩ জনকে আটক করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে সোমবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের আলীপুরা গ্রামে দুপক্ষের লোকজন টেঁটাসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, ‘একসময় এই টেঁটা দিয়ে মাছ ধরা হতো। এখন মানুষ হত্যা করা হয়। টেঁটাযুদ্ধ বা টেঁটা দিয়ে মানুষকে আঘাত করার দৃশ্যটা কতটা অমানবিক, তা না দেখলে বোঝার উপায় নেই। আমরা আধুনিক যুগে বসবাস করছি। আমাদের চরাঞ্চলে শিক্ষার হার বেড়েছে। অর্থনৈতিক মুক্তি হয়েছে। তবে কেন হানাহানি?’
পুলিশ সুপার আরো বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নজরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলীপুরা গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান মিয়া ও একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা কামাল মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে কামাল মেম্বারের লোকজন সোমবার সকালে ঘুমন্ত মানুষের ওপর টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে গ্রামবাসীর সহায়তায় পুলিশ আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ সুপার প্রলয় জোয়ারদারের নির্দেশে পুরো এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালায় জেলা পুলিশ। দিনভর অভিযান চালিয়ে ৫০০ টেঁটা উদ্ধার করা হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৩ জনকে আটক করা হয়।