নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টির জামিন নাকচ
ক্যাম্পাসে জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টির জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস এই আদেশ দেন। জামিন নাকচ হওয়া চার সদস্য হলেন—এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান।
এর আগে গত ১৯ মে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চার সদস্যের আগাম জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আদালতে আইনজীবী মিজান সাঈদ একদিনের সময় আবেদন করলে আদালত রোববার দুপুর ২টার সময় জামিন শুনানির নির্দেশ দেন। এ সময় আদালত ওই দিন আসামিদের হাজির থাকতেও নির্দেশ দেন। এরপর আজ সেই শুনানি শেষে ওই চার জনকে গ্রেপ্তার করে নিম্ন আদালতে পাঠাতে পুলিশকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ৫ মে দুদক কার্যালয়ে মামলা করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—নর্থ সাউথের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দীন আহমেদ, আশালয় হাউজিংয়ের আমিন মো. হিলালী।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলো বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিকেলস (রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস) অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি দাতব্য, কল্যাণমুখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারের সুপারিশ বা অনুমোদনকে পাশ কাটিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কিছু সদস্যের অনুমোদন বা সম্মতির মাধ্যমে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ডেভেলপমেন্টের নামে নয় হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ অপরাধজনকভাবে প্রদান বা গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন আসামিরা।
পরে নিজেদের লোকজনের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন তাঁরা। এরপর সেই এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।