নানা ঘটনায় সাতক্ষীরায় শেষ হলো ইউপি নির্বাচন

Looks like you've blocked notifications!
বৃষ্টি উপেক্ষা করে আজ সোমবার ভোট দেন সাতক্ষীরার ভোটাররা। ছবি : এনটিভি

ভোটদানে বাধা দেওয়ায় সাতক্ষীরার তালা ও কলারোয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে আজ সোমবার প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রাতে ভোট কেটে বাক্সে ঢোকানোর অভিযোগে স্থগিত করা হয়েছে কলারোয়ার কেড়াগাছি ইউনিয়নের কেড়াগাছি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ। 

কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে ওই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।’

কেড়াগাছি ইউনিয়নের হঠাৎগঞ্জ ও পশ্চিম বোয়ালিয়া কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোট দিতে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, তাঁর সমর্থকেরা রামকৃষ্ণপুর, বেইলিসহ তিনটি ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি।

অপরদিকে, একই ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে ইউপি সদস্য পদপ্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার রাতেই ওই ইউনিয়নে সংঘর্ষের জেরে আহত সদস্য পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগনেতা আনোয়ারুল ইসলাম ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

অন্যদিকে, কলারোয়ার কয়লা ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিক মোল্লা ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে, তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের হাজরাপাড়া কেন্দ্র দখলের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে জানিয়েছে।

একই উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নে ভোট গ্রহণকালে কেন্দ্রের বাইরে দুটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলে জানা গেলেও প্রশাসন তা অস্বীকার করেছে।

আজ সোমবার সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ভোটগ্রহণ বিঘ্নিত হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট কেন্দ্রগুলো ভোটারদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। চলতে থাকে ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়।