নারী হয়রানি : ইতিহাদকে দুই কোটি টাকা জরিমানার পূর্ণাঙ্গ রায়

Looks like you've blocked notifications!
ইতিহাদ এয়ারওয়েজ। ফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুঁথি ও তাঁর মেয়ে তানজিন বৃষ্টিকে হয়রানির অভিযোগে ইতিহাদ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষকে দুই কোটি টাকা জরিমানা করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

এক কোটি করে মোট দুই কোটি টাকা প্রত্যেককে প্রদান করতে পরবর্তী মাস থেকে ২০ কিস্তিতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া নারীযাত্রীদের সঙ্গে অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করতে রায়ে ইতিহাদ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ ১৯২ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করে।

রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নয় বছর আগে বাংলাদেশি দুই নাগরিক অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুঁথি ও তাঁর মেয়ে তানজিন বৃষ্টিকে হয়রানির অভিযোগে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে ইতিহাদ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষকে গত বছরের ৮ অক্টোবর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। 

এ বিষয়ে জারি করা রুল আংশিক মঞ্জুর করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আদালত বলেন, দুজন নারীকে আবুধাবি বিমানবন্দরে যে ধরনের হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়েছে, তা অর্থদণ্ড দিয়ে পরিমাপ করা যায় না।

আদালত ‘নেগলিজেন্স গেস টর্ট’ আইনের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণের রায় প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এ ছাড়া আদালত ইতিহাদ এয়ারলাইনসকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করেন, যেন জেন্ডার বা শরীরের রং বিবেচনায় ভবিষ্যতে কোনো যাত্রীর সঙ্গে এ রকম আচরণ করা না হয়।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ। ইতিহাদের কান্ট্রি ম্যানেজারের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আজমালুল হোসেন কিউসি ও মো. আজিজ উল্লাহ ইমন।

২০১১ সালের ২৮ জুন আবুধাবি বিমানবন্দরে এ দুই নারীকে হয়রানি/নির্যাতন/আটকের ঘটনা ঘটে। এরপর একই বছর ইতিহাদ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন বাংলাদেশি যাত্রী তানজিন বৃষ্টি।

রিটে বিবাদীরা হলেন পররাষ্ট্রসচিব, সিভিল অ্যাভিয়েশন সচিব ও চেয়ারম্যান, বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), ইতিহাদের অপারেশন ম্যানেজার, কান্ট্রি ম্যানেজারসহ সাতজন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৪ জুলাই হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুঁথি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সহধর্মিণী।