নিখোঁজের পরের দিন প্রতিবন্ধী কিশোরীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে এক দিন নিখোঁজ থাকার পর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের দক্ষিণ কালীবাড়ি মহল্লায় বাংলাদেশ টেলিগ্রাম কার্যালয়ের চত্বর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের ধারণা, ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে ওই কিশোরীকে।
প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমা বেগমের (১৪) বাবা এলাহী রিকশা চালানোর পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের এটিএম বুথের গার্ড হিসেবে কাজ করেন। তিন বোনের মধ্যে বড় ফাতেমা। সে জন্ম থেকেই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ওই কিশোরী বাবার সঙ্গে শহরের রাজেন্দ্র কলেজ সংলগ্ন এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত।
কিশোরীর বাবা জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না মেয়েকে। বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার সকাল ও দুপুরে শহরে মাইকিং করা হয়। জানানো হয় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায়।
এলাকাবাসী জানায়, প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী কলেজ এলাকা দিয়েই সারা দিন ঘুরে ফিরে বেড়াত। শুক্রবার সন্ধ্যায় টেলিগ্রাম অফিসের চত্বরে সীমানা প্রাচীরের পাশে তার বিবস্ত্র মৃতদেহ দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
কোতোয়ালি থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন বলেন, ‘কিশোরীর গলায় কাপড় পেচানো ছিল। ধারণা করা যাচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এসআই বেলাল হোসেন বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পেলে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না মৃত্যুর আগে ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল কি না।’