নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল সেপটিক ট্যাংকে
গাজীপুরে নিখোঁজের ছয় দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার পাগলীর মায়ের মাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুর নাম পাভেল (৭)। সে নোয়াখালির চাটখিল থানার সাদরখিল গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
জিএমপির টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক মাহমুদ জানান, টঙ্গীর গাজীপুরা কাজীপাড়া এলাকার সুরুজ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন মনির হোসেনের পরিবারে। তাঁর ছেলে পাভেল গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে অন্য শিশুদের সঙ্গে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। স্বজনরা বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পায়নি। এ ঘটনায় পাভেলের দাদি বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আজ শনিবার কয়েক শিশু ওই এলাকায় কাগজ ও বোতল কুড়াতে যায়। একটি শিশু পরিত্যক্ত খোলা সেপটিক ট্যাংকে মাথা ভাসতে দেখে। শিশুরা পুতুলের মাথা ভেবে নাড়াচাড়া দিয়ে ময়লা সরাতেই মানুষের মাথা দেখতে পায়। এ সময় শিশুরা ভয়ে চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু পাভেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
জিএমপির টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, খেলতে গিয়ে ওই ট্যাংকে পড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে, নাকি তাঁকে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে সে ব্যাপারে তদন্ত করছে পুলিশ।