নিজের পৈতৃকভিটা পরিদর্শন করলেন সেনাবাহিনী প্রধান

Looks like you've blocked notifications!
নড়াইলের লোহাগড়ায় পৈতৃকভিটা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত। 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ পৈতৃকভিটা পরিদর্শন করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের নিজ গ্রাম করফায় আসেন তিনি।

এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, ‘২০২৪ সালের জুনে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। ইতোমধ্যে দুইধাপের কাজ ৭৫ ভাগ শেষ হয়েছে। আগামি জুনে (২০২৩) দুইধাপের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হবে। আর তৃতীয়ধাপের কাজ এগিয়ে চলছে। পুরো কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুন মাসে।’

এদিকে, নিজ গ্রাম করফায় বাবার নামে নির্মাণাধীন ১০ শয্যা বিশিষ্ট ‘অধ্যাপক শেখ মোঃ রোকন উদ্দীন আহমেদ’ মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় সেনাপ্রধানের সহধর্মীনি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। সেনাপ্রধান নিজ গ্রামের স্মৃতিচারণ করে আরও বলেন, ‘নিজ এলাকায় লোকসমাগম দেখে ভালো লেগেছে। মানুষের ভালোবাসা ভাগ্যের ব্যাপার। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। মহান আল্লাহ পাকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে এই সম্মান দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা। তিনি আস্থা রেখেছেন বলেই আমি সেনাপ্রধান। এজন্য মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান পাচ্ছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেন মানুষের, দেশের ও সরকারের সঠিক কাজগুলো করে যেতে পারে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ জনকল্যাণমূলক যে কোনো কাজের সুযোগ পেলে আমরা করব।’

এর আগে সেনাপ্রধান রেল সংযোগ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। পরে মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজ এবং মধুমতি আর্মি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তিনি মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রোকন উদ্দীন আহমেদ ভবন’ উদ্বোধনসহ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ২০ লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘অঙ্কুর’ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচনসহ বিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজে ১৫ লাখ টাকা দেয়ার কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল এ কে এম রেজাউল মজিদ, যশোর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ, নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।