নিম্ন আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিক্ষোভ, পুলিশি বাধা
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন না দেওয়ায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা নিম্ন আদালতে বিক্ষোভ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মহানগর দায়রা জজ ও জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিক্ষোভ দেখান।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা প্রধান সড়কে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আদালত চত্বরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন আইনজীবীরা।
বিএনপিপন্থী আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে জামিন না দেওয়ায় আদালতে আজ আমরা বিক্ষোভ মিছিল করেছি। ম্যাডামের অবিলম্বে মুক্তি চাই। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জামিন না হলে আইনজীবী সমাজ আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
বিএনপিপন্থী আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ম্যাডামের জামিন না হওয়াটা অবিশ্বাস্য। সব মামলায় জামিন হয় আর এই মামলায় কেন হবে না। আমরা জামিন না পাওয়াতে আজ বিক্ষোভ মিছিল করেছি। তবে পুলিশ আমাদের বাধা দিয়েছে।
আদালতে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আইনজীবীদের মিছিলের বাধার বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। এটা কোতোয়ালি থানা ও বংশাল থানার ভিতরে। ওই থানার লোক ভালো বলতে পারবে।’
এদিকে আজ খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির সময় তাঁর মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। তাঁর আরো কিছু স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা বাকি আছে। এ জন্য আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই মেডিকেল রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ওই দিনই খালেদা জিয়ার জামিনের আপিল শুনানি করা হবে বলে আপিল বিভাগ আদেশ দিয়েছে।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ সংক্রান্ত শুনানি হয়।
এর আগে গত ৩১ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। এরপর গত ১৪ নভেম্বর সাতটি গ্রাউন্ডে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আপিল আবেদন করা হয়। ১৭ নভেম্বর আবেদনটি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ২৫ নভেম্বর শুনানির পর বিচারক সেটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা টাকা জরিমানা করা হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরো তিন আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ের পর ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল করেন খালেদা জিয়া।