নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা, হুঁশিয়ারি ওবায়দুল কাদেরের

Looks like you've blocked notifications!
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

দেশের চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে চালু হওয়া গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধির শর্তগুলো যারা মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সব শর্ত বিআরটিএ তথা মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে, সেসব শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালনে আমি নিজেদের স্বার্থেই যাত্রী সাধারণ, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনকে অনুরোধ জানাচ্ছি। এ সব শর্ত প্রতিপালনের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ থেকে যানবাহন ও যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে হবে। যে সব পরিবহন সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার গণপরিবহন চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সভায় সংসদ ভবনস্থ সরকারি বাসভবন থেকে ওবায়দুল কাদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামীকাল থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলছে। সরকারি ছুটির সঙ্গে মিল রেখে বন্ধ থাকা গণপরিবহন খুলতে যাচ্ছে। আগামী সোমবার ১ জুন থেকে সড়ক পরিবহন শুরু হচ্ছে। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট স্টেক হেল্ডারদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনে সবাই সম্মতি দিয়েছে। আমরা সবাই মিলে ভালো থাকতে চাই। সামান্য উপেক্ষা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সব স্টেক হেল্ডারদের নিয়ে টার্মিনালভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠনের ও কাউন্সিলিংয়ের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাশপাশি সরকারি নজরদারিসহ বিআরটিএর মোবাইল টিম কার্যকর থাকবে। আমরা চাই না, পরিবহন কিংবা টার্মিনাল করোনা সংক্রমণের কেন্দ্রে পরিণত হোক। আমি টার্মিনালসমূহের কর্তৃপক্ষকে পুরো এলাকাজুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান তথা জীবাণুমুক্ত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

গণপরিবহন চলার ক্ষেত্রে শর্তগুলো তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাসসমূহে ৫০ ভাগ যাত্রী পরিবহন করা যাবে। অর্থাৎ অর্ধেক সিট খালি রাখতে হবে। যাত্রী ওঠানামার সময় সামাজিক দুরত্ব শারীরিক দুরত্ব মেনে চলতেই হবে। যাত্রী পরিবহন, শ্রমিক, চালক, চালকের সহকারী, কাউন্টার কর্মী সবাইকে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামুলক করতে হবে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ টার্মিনাল এবং স্টেশনে সাবান ও পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে হাত ধোয়ার জন্য। ট্রিপ শুরু হওয়ার আগে ও পরে জীবাণুনাশক স্পে করতে হবে। অনুমোদিত নির্দিষ্ট স্টেশন ছাড়া যেখানে সেখানে থামানো যাবে না। যাত্রী ওঠানামা যত্রতত্র করা যাবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা আক্রান্ত ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২২তম। সামনে কঠিন সময় আসছে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের চেয়ে খারাপ অবস্থা সত্ত্বেও লকডাউন শিথিল করেছে। কেউ কেউ তুলে নিয়েছে। জীবন রক্ষার পাশাপাশি এই সময়ে দেশের অর্থনীতিও বাঁচাতে হবে।

করোনাভাইরাসের সংকটে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ঢালাও সমালোচনা না করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাঁর ওপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে। ঢালাও সমালোচনা না করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। সংকটের শেখ হাসিনা সবার সঙ্গে আছেন। আল্লাহর অশেষ রহমত এবং সবার সহযোগিতায় আমরা ঘুরে দাঁড়াবো।