নির্ধারিত সময়ে শিশু নিপীড়নের বিচার হচ্ছে না : অ্যাডভোকেসি ফোরাম

Looks like you've blocked notifications!
অ্যাডভোকেসি ফোরাম আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে কন্যাশিশু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন-২০২২ উপস্থাপন করে। ছবি : সংগৃহীত

নির্ধারিত সময়ে শিশু নিপীড়নের বিচার হচ্ছে না বলে দাবি করেছে অ্যাডভোকেসি ফোরাম। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে কন্যাশিশু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন-২০২২ উপস্থাপনের সময় এ দাবি কার হয়। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি।

অ্যাডভোকেসি ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর ধারা ২০(৩)-এ বলা হয়েছে, বিচারের জন্য ধর্ষণ মামলা প্রাপ্তির তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালকে কাজ শেষ করতে হবে। আইনে এমন বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম।

নাছিমা আক্তার জলি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে ৭৬ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে একজন বিশেষ শিশুও ছিল। অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে তিন জন, অপহরণ ও পাচার হয়েছে ১৩৬ জন, ২৮টি জেলায় গত আট মাসে দুই হাজার ৩০১ জন কন্যাশিশু বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।

এ ছাড়া যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩ জন, তাদের পাঁচ জন যৌতুক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় হত্যার শিকার হয়েছে। 

৫৭৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলেও জানান নাছিমা আক্তার জলি। তিনি আরও জানান, গত আট মাসে আত্মহত্যা করেছে ১৮১ জন কন্যাশিশু এবং ১৮৬ জন শিশু হত্যার শিকার হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আর এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এগিয়ে যাওয়ার এ সময়টিতে এসেও কন্যাশিশুর জন্মকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয় না। সামাজিকভাবে ছেলেসন্তান জন্ম দেওয়াকে গৌরবের বিষয় ভাবা হয়, যা আদতে সব কন্যাশিশুর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণই শুধু নয়, এটি কন্যাশিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড প্রোটেকশন এডুকোর স্পেশালিস্ট মো. শহীদুল ইসলাম, গুডনেইবারস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাইনুদ্দিন মাইনুল, হেলেন মনিষা সরকার প্রমুখ।