নির্বাচনি ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি : গয়েশ্বর

Looks like you've blocked notifications!
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) উদ্যোগে আজ বুধবার নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা সুখারী ইউনিয়নে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি : এনটিভি

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনি কোনো ফাঁদে বিএনপি পা দেবে না জানিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক অন্যান্য রাজনৈতিক দলও প্রহসনের কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।’

আজ বুধবার জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) উদ্যোগে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা সুখারী ইউনিয়নে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।

এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, জেডআরএফ এর ত্রাণ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, সদস্য সচিব প্রকৌশলী মাহবুব আলম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক ও সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালি, জেডআরএফের সদস্য প্রকৌশলী মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত বানভাসি মানুষদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা আমাদের সামর্থ্য নিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আপনাদের বুঝতে হবে, আমরা গত ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে আমরা নানান নির্যাতনের শিকার। আপনার এলাকার সন্তান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর গত ১৪ বছর ধরে কারাগারে। আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা।’

‘সরকার আমাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে’ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আপনাদের প্রিয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ কারাবন্দি বা গৃহবন্দি। আর আপনারা হলেন পানিবন্দি। সুতরাং, দেশের নেত্রী যখন গৃহবন্দি থাকে, তখন পানিবন্দি মানুষের অসহায়ত্ব দেখার নেতা থাকে না।’

নেত্রকোনাবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা আরও শক্তিসামর্থ্য নিয়ে আপনাদের পাশে যেন থাকতে পারি এবং আপনার আমার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই লুটপাটকারী সরকারকে যেন বিদায় দিতে পারি।’ 

গয়েশ্বর বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে ২০ শতাংশ মানুষ বন্যার দুর্ভোগে রয়েছে। কিন্তু দেশের ১৮ কোটি মানুষ শেখ হাসিনা সরকারের কারণে দুর্ভোগে আছে। এ থেকে আপনাদের মুক্তি পেতে হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, আপনাদের ভোটের অধিকার আদায় করতে হবে। আপনার ভোট আপনি দেবেন, ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিরাপদে যাকে খুশি তাকে দেবেন। আমাদের আন্দোলন আপনাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। যেদিন আপনাদের নিরাপদ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব, সেদিনই আমরা নির্বাচনে যাব।’

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে দেশে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম বাড়ে, সেদেশে সব কিছুর দাম বাড়বে। কারণ, এর সাথে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। এখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একটাই উপায়—আপনাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি। আপনাদের শক্তি আমাদের দলের ও দেশের শক্তি। আপনাদের শক্তি ঐক্যবদ্ধ করে এই সরকারকে বিতাড়িত করব এবং দেশ, দেশের জনগণ ও দেশনেত্রীকে মুক্ত করব।’