নির্বাচনে গেলে বিএনপির লজ্জাজনক পরাজয় হবে : হানিফ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, তাঁরা (বিএনপি) নির্বাচন নিয়ে ভাবছেন না, কারণ তাঁরা জানেন—নির্বাচন করার সক্ষমতা তাঁদের নেই। নির্বাচনে গেলেও তাঁদের ২০১৮ সালের মতো লজ্জাজনক পরাজয় গ্রহণ করতে হবে।
আজ সোমবার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হানিফ।
বিভিন্ন সময়ে বিএনপি ইস্যু খুঁজে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য উল্লেখিত করে হানিফ আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপিনেতারা বলছেন, কমিশন নিয়ে তাঁদের মাথা ব্যথা নেই। কারণ, দলের শীর্ষ দুই নেতা দণ্ডপ্রাপ্ত। একজন বেগম খালেদা জিয়া ও অপরজন তারেক জিয়া। শীর্ষ ওই নেতারা দণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক থাকায় নির্বাচন নিয়ে ভাবার সুযোগ তাঁদের নেই।’
বাংলাদেশের যা অর্জন তাঁর অবদান আওয়ামী লীগের উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রনায়ককে এভাবে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করার নজির নেই, যেভাবে জাতির জনকের পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে।’
‘পাকিস্তানপন্থীরা তাঁকে মেনে নিতে পারেনি বলে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিলেন মেজর জিয়া’ মন্তব্য করে হানিফ বলেন, “এটা আজ প্রমাণিত সত্য। জিয়া ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের পরিবর্তে পাকিস্তানি আদলে ‘জিন্দাবাদ’ চালু করেছেন। রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছেন।’
মৌলভীবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি নেছার আহমদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমানের পরিচালনায় প্রতিনিধিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, সৈয়দা জোহুরা আলাউদ্দিন।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন, সাবেক এমপি সৈয়দা সায়েরা মহসীন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজমল হোসেন, মশহুদ আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নরুল ইসলাম নাহিদ দেশে চলমান নানা উন্নয়ন বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে, সমৃদ্ধ হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আর এর অন্যতম শক্তি হলেন তৃণমূলের কর্মীরা। দলীয় ভেদাভেদ ভুলে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সর্বশ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘মার্চ মাস আমাদের জন্য পবিত্র মাস। একদিকে মার্চ মাস স্বাধীনতার মাস। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের বক্তব্য। অন্যদিকে, এই মাসই জাতির জনকের জন্মমাস। এই মাসেই এই প্রতিনিধি সভায় আমাদের ভেদাভেদ ভুলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে কাজে নামতে হবে।’
আহমদ হোসেন বলেন, ‘না পাওয়ার বেদনা ভুলতে হবে। এখন বাড়িতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন। প্রশাসন আপনাকে সম্মান দিচ্ছে। জামাত-বিএনপি রাজাকাররা ক্ষমতায় থাকলে বাড়িতে ঘুমাতে পারতেন না। তাই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করতে হবে।’