নির্বাচন ব্যর্থ করার ক্ষমতা বিএনপির নেই : নানক 

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে জাহাঙ্গীর কবির নানক বক্তব্য দেন। ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিহত করার ক্ষমতা বিএনপির নেই।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা লাশ চায়, লাশের রাজনীতি করে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। কিন্তু, যতই ষড়যন্ত্র করুন, কোনো লাভ নেই। নির্বাচনকে প্রতিহত করার ক্ষমতা আপনাদের নেই।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ বৃহস্পতিবার যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “২০২২ সালে দাঁড়িয়ে বিএনপি-জামায়াত ’৭৫-এর স্বপ্ন দেখে। ‘’৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার’—এই স্লোগান দিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেখায়। মনে রাখবেন মির্জা ফখরুল সাহেব, এ বাংলাদেশে আর কোনো দিন ’৭৫ ঘটতে দেওয়া হবে না।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে নানক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব কোন পথে হাঁটবেন—সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাদের। ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটবেন না, গণতন্ত্রের পথে হাঁটবেন। গণতন্ত্রের পথে হাঁটলে নির্বাচন কমিশনকে মানতে হবে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে হবে। নির্বাচনকে ব্যর্থ করার, প্রতিহত করার ক্ষমতা আপনাদের নেই।’ 

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এ নেতা আরও বলেন, ‘আজ খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড মেরে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। শেখ হাসিনা নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে বাড়িতে এনে রেখেছেন, চিকিৎসা দিচ্ছেন। তারেক রহমান দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি লন্ডনের সুরম্য অট্টালিকায় থাকছেন দেশের টাকা লুট করে। সেখান থেকে লাদেনের ভূমিকা পালন করে কোনো লাভ হবে না।’

নানক বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, শেখ হাসিনা সে ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে আগামী ২৫ তারিখ স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্‌বোধনের মধ্য দিয়ে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিল—দেশ এগিয়ে চলছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজপথকে ভয় পায় না। এ দল রাজপথের দল। ফখরুল সাহেব, আসুন দেখে যান, রাজপথ আজ যুব মহিলা লীগের দখলে আছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা আবারও আগুন সন্ত্রাসের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের আপামর জনতার দল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে আছে ও থাকবে। সন্ত্রাসীরা যদি এ বাংলাদেশে বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃত্বে আবারও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করে, আমাদের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করবে।’

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আজকে যখন নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু হয়ে গেছে, তখন বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত পলাতক চেয়ারম্যান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাথা খারাপ হয়ে তাদের সমালোচনা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভরে গেছে। তাদের লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গেছে। এজন্য তারা বাংলাদেশে ভিন্ন রকমের একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যাতে মানুষের মধ্যে পদ্মা সেতুর উদ্‌বোধন উপলক্ষ্যে আনন্দ বিরাজ করছে, সেটিকে তারা নষ্ট করতে চায়। জনগণের প্রতিপক্ষ স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিহত করতে আমাদের নেতাকর্মীরা বদ্ধপরিকর।’

বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিলের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ যুব মহিলা লীগের নেত্রীরা।