নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে কার্টুনিস্ট কিশোরের মামলা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিনে মুক্ত কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে হেফাজতে নিবারণ আইনে মামলার আবেদন করেছেন। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তিনি মামলাটি করেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিপি বলেন, কার্টুনিস্ট কিশোর বাদী হয়ে মামলাটি করার পরে বিচারক জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন এবং এ বিষয়ে আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন। মামলার আর্জিতে আসামি হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কারো নাম সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি।
কার্টুনিস্ট কিশোরের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আটকের পর কিশোরকে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনে তাঁর কানের পর্দা ফেটে গেছে। আমরা আজ আদালতে হেফাজতে নিবারণ আইনে মামলা নিতে আবেদন করেছি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে আদেশ পরে দেবেন বলে আদালত জানিয়েছেন।
গত বছরের ৫ মে র্যাব-৩-এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ পেজের অ্যাডমিন সায়ের জুলকারনাইন, কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ ও কারা হেফাজতে মৃত মুশতাক আহমেদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামের ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুন্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।
সায়ের জুলকারনাইন সম্প্রতি আল জাজিরায় প্রচারিত তথ্যচিত্র ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’-এর ‘সামি’ বলে জানা গেছে। গত বছরের মে মাসে কিশোর, মুশতাক ও দিদারুলকে লালমাটিয়া ও কাকরাইলের নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। এর মধ্যে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মারা যান মুশতাক। দিদারুল জামিনে আছেন।
গত ৩ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কার্টুনিস্ট কিশোরের ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন ৪ মার্চ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।