নেত্রকোনায় ষাঁড়ের লড়াই, আয়োজক ইউপি সদস্যকে ১ লাখ টাকা জরিমানা
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান লকডাউন উপেক্ষা করে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের নেতৃত্বে ষাঁড়ের লড়াই আয়োজন করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক করে পুলিশ। রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের ডেংবাড়ির সামনে গতকাল মঙ্গলবার এ লড়াই হয়। সারা দেশের মতো করোনা সংক্রমণের কারণে নেত্রকোনা জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা থাকার কথা; কিন্তু এই ষাঁড়ের লড়াই হওয়ার বিষয়টি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দেয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউপির শ্রীপুর গ্রামের ডেংবাড়ির খোলা জায়গায় মঙ্গলবার সকালে ষাঁড়ের লড়াই শুরু হয়। এ সময় শ্রীপুর গ্রামের সুজন মিয়া ও মুন্সিপাড়া গ্রামের আবদুল মালেকের দুটি ষাঁড়ের লড়াই বাঁধে। ১১টার দিকে একই জায়গায় পাশের গ্রামের শহীদ মিয়া ও আনোয়ার হোসেনের দুটি ষাঁড়ের লড়াই হয়। লড়াই চলাকালে খোলা মাঠটি উৎসুক জনতায় কানায় কানায় ভরে যায়। ওই ষাঁড়ের লড়াইয়ের নেতৃত্বে ছিলেন ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা মিলন ও তাঁর ভাই সুজন। হাজারো জনতা দলবদ্ধ হয়ে লড়াই উপভোগ করেন। এখানেই পাঁচ দিন আগেও ষাঁড়ের লড়াই হয়েছিল। এ খেলায় জনসমাগমে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম ভঙ্গ হওয়ায় স্থানীয় সচেতন মহল এর প্রতিবাদ করে। তবে ওই নিষেধ মানেননি ইউপি সদস্য ও তাঁর সহযোগীরা।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ষাঁড়ের লড়াই আয়োজনের বিষয়টি জানা ছিল না। জানতে পেরে আয়োজক স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়। লকডাউন ভেঙে যারা এ ষাঁড়ের লড়াই আয়োজন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।