নেত্রকোনায় ৫১৬ মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন
এ বছর বৃষ্টিভেজা শরতের আকাশ। শিউলি ফুলের গন্ধে দেবীদুর্গা কৈলাস থেকে ঘোড়ায় করে সুখ সমৃদ্ধি নিয়ে আসছেন মর্তলোকে এবং দেবী যাবেন পালকিতে। ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজা শুরু হয়ে চলবে ১৫ অক্টোবর দশমী পর্যন্ত। পুরোদমে চলছে উৎসবের প্রস্ততি। প্রতিমা, লাইট ও প্যান্ডেল তৈরিতে ব্যস্থ সময় পার করছেন নেত্রকোনার প্রতিমাশিল্পীরা।
পূজায় স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় সজাগ থাকা হবে বলে জানিয়েছে পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা। পূজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় বদ্ধ পরিকর পুলিশ ও প্রশাসন।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। আর দুদিন পর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এবার জেলার ১০টি উপজেলায় ৫১৬টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতি বছর নেত্রকোনায় সার্বজনীন এই উৎসব উদযাপন হয়ে থাকে বর্ণিল আয়োজনে। পাহাড়, নদী ও হাওরের জেলা নেত্রকোনার আকাশে-বাতাসে পূজার গন্ধ যেন ভেসে বেড়াচ্ছে। নদীর ধারে কাশফুলের হালকা রেশ মানুষকে প্রাণচঞ্চল করে তুলছে বৃষ্টিভেজা শরতের আকাশ। প্রতিমা শিল্পীরা করছে দেবী দুর্গার বাহন সিংহ, মহিষাসুর, দেবী লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ এবং তাদের বাহন পেঁচা, হাঁস, ইঁদুর আর ময়ুরের রঙের কাজ।
নেত্রকোনা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মঙ্গল চন্দ্র সাহা রায় জানান, এ বছর ৫১৬টি মন্দির ও মণ্ডপে পূজা উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে এবং প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।
পূজা চলাকালীন পুলিশ সার্বক্ষণিক নজরদারি ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী।
আজ শনিবার নেত্রকোনা পৌর শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান। তিনি জানান, শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে সনাতন ধর্মের মানুষেরা পূজা-অর্চনা করবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার কাছে।