অভিনেত্রী শিমু হত্যাকাণ্ড

নোবেল ও ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে : পুলিশ

Looks like you've blocked notifications!
স্বামী সাখাওয়াত আলীম নোবেল ও রাইমা ইসলাম শিমু। ছবি : সংগৃহীত

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডের মামলায় তাঁর স্বামী সাখাওয়াত আলীম নোবেল এবং নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার আজ বুধবার বলেছেন, শিমুর স্বামী নোবেল এবং নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এবং ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে শিমু হত্যায় এ দুজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। ধারণা করছি, রিমান্ড শেষে আদালতেও দায় স্বীকার করে তাঁরা জবানবন্দি দেবেন।’

এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের পূর্বাপর বিভিন্ন ঘটনার আলামত পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে তা আদালতের কাছে উপস্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান এসপি মারুফ হোসেন সরদার।

পুলিশ বলছে—জিজ্ঞাসাবাদে পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিমুর স্বামী নোবেল ও তাঁর বন্ধু ফরহাদ। তিন দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনে তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এমন অভিন্ন তথ্য জানিয়েছে বলে জানাচ্ছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

গত সোমবার সকালে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে বস্তাবন্দি এক মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে শনাক্ত হয় যে মরদেহটি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর। সোমবার রাতে কলাবাগানের বাসা থেকে শিমুর স্বামী নোবেল এবং নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে আটক করে পুলিশ।

গত রোববার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন রাইমা ইসলাম শিমু। ওইদিন রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলীম নোবেল। জিডিতে নোবেল দাবি করেন, ‘গত রোববার অনুমানিক সকাল ১০টার দিকে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত (জিডি করার সময় পর্যন্ত) বাসায় ফেরেনি। তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’

শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা করেন তাঁর বড় ভাই হারুন অর রশিদ। পরে স্বামী নোবেল এবং তাঁর বন্ধুকে আদালতের নির্দেশে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।