নোয়াখালীতে গৃহবধূকে নির্যাতন : আসামি মোয়াজ্জেমের জামিন

Looks like you've blocked notifications!
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারের পর একলাশপুর ইউপির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ। ফাইল ছবি : এনটিভি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার আসামি একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ওরফে সোহাগ মেম্বারের (৪৫) জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মামলায় আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী অজি উল্লাহ, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। 

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন জানান, ওই নারীকে নির্যাতনের ঘটনা ৭১ সালের নির্যাতনের ঘটনাকেও হার মানিয়েছে। শুনানি শেষে হাইকোর্ট আসামি মোয়াজ্জেমের জামিন দেন।

মামলার নথি অনুযায়ী, সোহাগ মেম্বারের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করে দণ্ডবিধির ২০২ ধারার অভিযোগ এনেছে। ওই ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ছয় মাস। এই বিবেচনায় তাঁর জামিন চান আইনজীবী অজি উল্লাহ।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর ওই ঘটনায় প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলুসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাবার বাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে যান তাঁর সাবেক স্বামী। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার বিষয়টি দেখে ফেলেন। রাত ১০টার দিকে দেলোয়ারের লোকজন ওই নারীর ঘরে ঢুকে পরপুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজের অভিযোগে ও তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে পিটিয়ে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়।

৪ অক্টোবর দুপুরে দেলোয়ার বাহিনী ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। পরে এ ঘটনায় দায়ের করা নির্যাতন, ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। পরের দিন রাতে ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।