নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন : আরো দুজন গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন মামলায় আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

মামলার এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি সামছু উদ্দিন ওরফে সুমনকে (৩৯) হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী কালেঙ্গা পাহাড় থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই হবিগঞ্জ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার তাঁকে কালেঙ্গা ত্রিপুরাবস্তি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুরের দরবেশ বাড়ির বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআইয়ের পরিদর্শক মুক্তাদির হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া কুতুবুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে পিবিআইয়ের একটি বিশেষ টিম বুধবার রাতব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের চুনারুঘাটের কালেঙ্গা ত্রিপুরাবস্তি এলাকায় অভিযান চালায়। পাশাপাশি চারদিকে অবস্থান নেয় পিবিআই। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মুক্তাদির হোসেন জানান, যেহেতু মামলাটি নোয়াখালীতে, এ কারণে আসামিকে সেখানে নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় সাহেদ নামের আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। আগের গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর নাম আসায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একলাশপুর ইউনিয়নের বাড়ি থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গতকাল বুধবার রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে আসামি আবুল কালামকে (২২) গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পুলিশ জানিয়েছে, সাহেদ ও কালামকে আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে আজ।

গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে একলাশপুর ইউনিয়নে ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তাঁর স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন দেলোয়ার বাহিনীর বাদলসহ অন্যরা। এরপর তাঁরা গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তাঁরা গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ফোনে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। পরে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে গত রোববার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। সেখানে নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো সাত-আটজনকে আসামি করা হয়। এ মামলার পলাতক আসামিরা হলেন ইসরাফিল হোসেন, আবদুর রব ও আরিফ। তাঁদের সবার বাড়ি বেগমগঞ্জে। তাঁরা সবাই একলাশপুরের দেলোয়ার বাহিনীর সদস্য।