নোয়াখালীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৩ মামলার আসামি নিহত
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে আনোয়ার হোসেন ওরফে মো. ইউসুফ (৩৫) নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার কেশারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউসুফের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতিসহ মোট ১৩টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইউসুফ বেগমগঞ্জ উপজেলার লাউতলি গ্রামের বাসিন্দা।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ইউসুফ দীর্ঘদিন ধরে সেনবাগসহ আশপাশের এলাকায় ডাকাতি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে আসছিলেন। এসব ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করার সাহস পেতেন না। ২০১৭ সালে সেনবাগে একটি ডাকাতির ঘটনার পর ইউসুফকে অস্ত্রসহ আটক করলেও তিনি জামিনে মুক্তি পান।
ওসি জানান, গতকাল জমিদারহাট থেকে ইউসুফকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গভীর রাতে আরো অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এ সময় সেনবাগের কেশারপাড় এলাকায় গেলে ইউসুফের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ইউসুফ। পরে তাকে দ্রুত নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে তিনজন পুলিশ আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন ওসি। আহতরা হলেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লোকেন মহাজন ও কনস্টেবল আবদুর রহমান। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।