নোয়াখালীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২৩ মামলার আসামি নিহত

Looks like you've blocked notifications!
রোববার গভীর রাতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শাহাদাত হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। ছবি : এনটিভি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে গতকাল রোববার গভীর রাতে শাহাদাত হোসেন (৩৯) নামের একজন নিহত হয়েছেন। গত শনিবার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভা এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল।

শাহাদাত হোসেন কোম্পানীগঞ্জ পৌরসভার বেলায়েত হোসেনের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম, ফেনীর সোনাগাজী, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ, কবিরহাটসহ জেলার বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও হত্যাসহ মোট ২৩টি মামলা রয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, পার্শ্ববর্তী কবিরহাট ও আমাদের কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন বেশ কয়েকটি বাড়িতে এবং নদীতে ডাকাতির ঘটনায় এলাকার মানুষ শাহাদাতের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিল। সম্প্রতি কবিরহাটে পৌরসভা এলাকার প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর দিনব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিভিন্নস্থানে ডাকাতির কথা স্বীকার করেন। পরে তিনি আরো অস্ত্রের কথা বললে তাঁকে নিয়ে গতকাল রাতে অভিযানে বের হই। উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ছোটধলী গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গেলে সহযোগী ডাকাতরা তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের ওপর গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও গুলি চালালে ঘটনাস্থলে তিনি মারাত্মক আহত হন। প্রথমে তাঁকে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি জানান, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশ ২৩টি গুলি করে এবং এ সময় ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে দেশি একটি বন্দুক, ১৩ রাউন্ড গুলিসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।