নৌপথ সচল রাখতে ঢাকার চারপাশের ১৩ সেতু ভাঙা হবে

Looks like you've blocked notifications!
আজ রোববার নিজ মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি : এনটিভি

বাবুবাজার, টঙ্গি রেলসেতুসহ ঢাকার চারপাশে নদ-নদীতে নির্মিত কম উচ্চতাসম্পন্ন সেতু পুনর্নির্মাণ অথবা ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আজ রোববার মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য প্রণীত মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং মেঘনা নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধিকল্পে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন সংক্রান্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকার চারপাশে নদ-নদী ও খালে নির্মিত ১৩টি সেতু চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো স্বল্প উচ্চতাসম্পন্ন এবং নৌ চলাচলের অনুপযোগী। নৌ চলাচল ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে এসব সেতুর উচ্চতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। তাই নৌ চলাচল ব্যবস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে এসব সেতু পুনর্নির্মাণ অথবা ভেঙে ফেলে নতুন সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

১৩টি সেতুর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডির ছয়টি, সড়ক ও সেতু বিভাগের ছয়টি এবং রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকার আশপাশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখতে নদী তীরবর্তী প্রায় দুই হাজারের বেশি কলকারখানা চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে এক হাজার ৪০০ কারখানায় ইটিপি স্থাপন করা হয়েছে। যেগুলোতে ইটিপি নেই সেগুলোতে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হচ্ছে এবং এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারখানায় ইটিপি সার্বক্ষণিক সচল রাখতে পরিবেশ অধিদপ্তর বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করতে একটি প্রকল্প নিয়েছে।

দখলমুক্ত জায়গা কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় নদ-নদীর তীর অথবা জায়গা দখলমুক্ত করে যেগুলো সিটি করপোরেশনের মধ্যে সেগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করবে এবং সিটি করপোরেশন এসব জায়গায় সংরক্ষণ, সৌন্দর্যবর্ধন নগরায়ণ এবং ইকোপার্ক নির্মাণ করবে। উদ্ধারকৃত জায়গা যাতে পুনরায় দখল না হয়, সেজন্য যা যা করা দরকার তার সবই করা হবে।

বিভিন্ন প্রকল্পের সময়সীমা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম আরো বলেন, যেকোনো প্রকল্প নেওয়া হোক না কেন দীর্ঘদিন ধরে সময় অতিবাহিত করা যাবে না। প্রকল্প নিতেই বছরের পর বছর চলে গেলে বাস্তবায়ন হবে কখন- এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, যে প্রকল্প নেওয়া হোক তা স্বল্প সময়ে শেষ করতে হবে।

এর আগে সভায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম জানান, বালু নদীতে নৌ চলাচল, নদীর তীরে নগরায়ণ এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে খুব শিগগিরই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

সভায় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।