নৌপুলিশের বিরুদ্ধে কারেন্ট জাল দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ
মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ দুর্গাবাড়ি এলাকার একটি কারখানায় গভীর রাতে জোর করে অনাধিকার প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে নৌপুলিশের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাহসিনা রোপ অ্যান্ড আয়রন ওয়াশিং ইন্ডাস্ট্রিজে এ ঘটনা ঘটে।
গভীর রাতে ওই কারখানায় মুক্তারপুর নৌপুলিশের একটি দল প্রবেশ করে। পরে সেখানে তারা অন্যত্র থেকে অবৈধ কারেন্ট জাল রেখে মালিক কর্তৃপক্ষকে ফাঁসানোর প্রচেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময় কারখানার দুই নিরাপত্তা কর্মীকে মারধর করেন নৌপুলিশের সদস্যরা।
তাহসিনা রোপ অ্যান্ড আয়রন ওয়াশিং ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক গোলাম কিবরিয়া জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কবির হোসেনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে। তারা কারখানার নিরাপত্তায় থাকা দুজনকে মারধরও করে। বাইরে থেকে কারেন্ট জাল এনে কারখানায় রেখে মেশিনে সাজিয়ে ছবি তুলে।
গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আগামী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। এতে আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার যোগসাজশে নৌপুলিশের ইনচার্জ কবীর হোসেন কারখানায় কারেন্ট জাল দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন।’
কারখানার নিরাপত্তাকর্মী বিপ্লব রহমান বলেন, ‘রাতে ডিউটিকালে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় পুলিশের গাড়ি আসে। কয়েকটি বস্তাভর্তি অবস্থায় অবৈধ কারেন্ট জাল নিয়ে প্রবেশ করে তারা। গেইট না খুলতে চাইলে মারধর করে। কারেন্ট জাল সাজিয়ে ছবি তুলে, সাদা কাগজে নাম লিখে। এরপর ওই সব কারেন্ট জাল নিয়ে চলে যায়।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে বুধবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কবীর হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁকে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা সিরাজুল কবির জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে সেই কারখানা থেকে ১৮ বস্তা অবৈধ কারেন্ট জাল আটক করা হয়েছে। জোর করে কারখানায় প্রবেশ করা হয়নি। কারখানার ভেতরে অবৈধ কারেন্ট জাল মিলেছে। বিএনপির এই নেতা নৌপুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিরাপত্তাকর্মীর ছবিও তোলা হয়েছে অভিযানকালে। যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে সব ভুয়া। নৌপুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।