নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির প্রভাব মোংলা বন্দরে

Looks like you've blocked notifications!
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সারা দেশে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মোংলা বন্দরেও। ছবি : এনটিভি

১১ দফা দাবিতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে মোংলা বন্দরসহ সারা দেশে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে।

নৌযান ও নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী নৌযান শ্রমিককে ল্যান্ডিং পাস প্রদান ও হয়রানি বন্ধ, নদীর নাব্যতা রক্ষা এবং মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন, যাত্রীবাহী লঞ্চের পূর্ণাঙ্গ গেজেট বাস্তবায়ন না করাসহ ১১ দফা দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা। এর ফলে রাত থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে নৌপথে পণ্য পরিবহনের কাজ।

নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মোংলা বন্দরে। কর্মবিরতি শুরুর আগ থেকেই বন্দরে অবস্থানরত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের গায়ে যে সব নৌযান ছিল, সেগুলোতে শনিবার সকালেও স্বল্প পরিসরে পণ্য খালাসের কাজ চলে। কিন্তু দুপুরের পর থেকে তাও বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। তবে কিছু কিছু জাহাজের গায়ে নৌযান না থাকায় সে সব জাহাজের পণ্য ওঠা-নামার কাজ বন্ধ রয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন বলেন, ‘নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে। সকালের পালায় জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ হলেও দুপুরের পর থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম জানান, ১১ দফা দাবিতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা প্রায় ২০ হাজার নৌযানের (কার্গো, কোস্টার, বাল্কহেড, বার্জ ও লঞ্চ) অন্তত দুই লাখ শ্রমিক-কর্মচারী তাদের কাজকর্ম বন্ধ রেখে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করবেন বলেও জানান তিনি।

আশিকুল আলম আরো জানান, ১১ দফা দাবির বিষয়ে গত ২৭ নভেম্বর বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে কিছু ইতিবাচক প্রস্তাব উঠে এলেও সামগ্রিকভাবে গ্রহণযোগ্য সমাধানের রাস্তা তৈরি না হওয়ায় শ্রমিকরা তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাই কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া মালিকদের অনিহাই শ্রমিকদের বিক্ষুদ্ধ হওয়ার মূল কারণ। অধিকাংশ মালিক সমিতি শ্রম মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে উপস্থিত হন না।

এর আগে একই দাবিতে গত ২৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন নৌযান শ্রমিকরা। এরপর দাবি পূরণের আশ্বাসে তারা কর্মবিরতি স্থগিত করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সে সব দাবি বাস্তবায়ন না হওয়াতে আবারো কর্মবিরতি শুরু করেছেন নৌযান শ্রমিকরা।