নড়াইলে বাড়িতে ঈদ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

Looks like you've blocked notifications!
নিজ বাড়িতে ফিরতে না পরা ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। এনটিভি

আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষ বর্তমান চেয়ারম্যান ও মাতব্বরদের ভয়ে এবারও ঈদে বাড়ি ফিরতে পারছে না ২০টি পরিবারপ্রধান। এমন অভিযোগ করেছেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর ও হাজরাখালী গ্রামের ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীদের আকুতি, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে চান তারা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও ফল হয়নি। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

ভুক্তভোগীরা বলেন, হামিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাহিদ হোসেন মোল্যা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জামিন পাওয়ার পরও প্রতিপক্ষের ভয়ে প্রায় তিন বছর ধরে বাড়িতে যেতে পারছেন না তারা। স্থানীয় বাজারে ব্যবসাও করতে পারছেন না তারা। বিগত কয়েকটি ঈদেও পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ করতে পারেননি। এবার ঈদেও বাড়ি যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাদের আকুতি, এবার পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে চান তারা।

ভুক্তবোগীরা জানান, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার কালিয়া থানার ওসির সঙ্গে আলোচনা করেও কোনো ফল মেলেনি। তাই গতকাল সোমবার বিষ্ণুপুর এলাকায় মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হামিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ, হাজরাখালী গ্রামের তৈয়েবুর রহমান টিংকু, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ মহাসিনসহ অনেকে।

হামিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান পলি বেগম ও ঠাণ্ডা মোল্যাসহ তাদের লোকজনের ভয়ে বাড়িঘরে যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হামিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পলি বেগম বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদসহ তার লোকজন এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

প্রতিপক্ষের মাতব্বর ঠাণ্ডা মোল্যা বলেন, তাদের বাড়িঘরে তারা আসবে আমরা বাধা দেব কেন? তারা আসবে কোনো সমস্যা নাই।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম (বার) বলেন, উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অবসান ঘটাতে চাই।