পঞ্চগড়ে নিয়োগ জালিয়াতির মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!
পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলাল। ছবি : সাইফুল ইসলাম দুলালের ফেসবুক ওয়াল থেকে

পঞ্চগড় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের নিয়োগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

আজ রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডলের আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা না মঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামের ইসলাম উদ্দীনের মেয়ে মোছা. ইয়াসমিন (২১), একই ইউনিয়নের নলপুকুরী গ্রামের লতিফুর রহমানের মেয়ে মৌসুমী আক্তার (২৮), ইয়াসমিনের স্বামী এ এইচ আর মাসুদ রয়েল (২৮) এবং ভাই সাইদুর রহমান (২৪)। তারা প্রত্যেকেই জামিনে রয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান।  

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর পঞ্চগড়ে পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। ওই পরীক্ষায় ইয়াসমিন এবং মৌসুমী উত্তীর্ণ হন। নিয়ম অনুযায়ী তারা ২৮ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে আসেন। কিন্তু তাদের কথা বার্তায় অসংলগ্নতা প্রকাশ পায়। একপর্যায়ে তাদের লিখতে দেওয়া হয় কিন্তু লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে তাদের লেখার মিল না থাকায় নিয়োগ বোর্ডের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা স্বীকার করেন তাদের হয়ে অন্য কেউ লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন।

এজহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ইয়াসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার ভাই সাইদুর রহমান এবং স্বামী এ এইচ আর মাসুদ রয়েল তাকে লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করাতে সহায়তা করেছেন বলে নিয়োগ বোর্ডের কাছে স্বীকারোক্তি দেন। পরে কর্তৃপক্ষ ভাইবা বোর্ড কৌশলে সাইদুর ও মাসুদ রয়েলকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইয়াসমিনের চাকরির জন্য সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে ১২ লাখ টাকার চুক্তি হয়। 

পরে এ ঘটনায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান দুলালসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেন।