পটুয়াখালীতে স্পিডবোটডুবি : ৪৮ ঘণ্টা পর ৪ জনের লাশ উদ্ধার

Looks like you've blocked notifications!
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় স্পিডবোটডুবির ৪৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া চারজনের লাশ ঘিরে মানুষের ভিড়। ছবি : এনটিভি

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার আগুনমুখা নদীতে যাত্রীবাহী স্পিডবোটডুবির ৪৮ ঘণ্টা পর আজ শনিবার সকালে পুলিশ সদস্য ও ব্যাংক পরিদর্শকসহ নিখোঁজ চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এর পর থেকেই নদীতে উদ্ধারকাজ চালানো হয়।

মৃত চারজন হলেন রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মো. মহিব্বুল্লাহ, কৃষি ব্যাংক বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আশা ব্যাংকের খালগোড়া শাখার কর্মকর্তা কবির হোসেন ও বিদ্যুৎ-সংশ্লিষ্ট কাজে আসা দিনমজুর মো. ইমরান।

জানা গেছে, দুর্ঘটনার দিন নদীবন্দরে চলমান ২ নম্বর সতর্ক সংকেত উপেক্ষা করে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে ১৭ যাত্রী নিয়ে রুমেন-১ নামে স্পিডবোটটি রাঙ্গাবালীর কোড়ালীয়া থেকে গলাচিপার পানপট্টির উদ্দেশে ছেড়ে যায়। মাঝপথে আগুনমুখা নদীর ঢেউয়ের আঘাতে স্পিডবোটটি উল্টে গেলে যাত্রীরা নদীতে পড়ে যান। এ সময় সাঁতার কেটে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় চালকসহ ১৩ জন জীবিত উদ্ধার হন। বাকি চারজন নিখোঁজ রয়ে যান। পরে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে নদীতে অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি টিম।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহম্মেদ জানান, লাইফ জ্যাকেট ছাড়া স্পিডবোট চালানোর দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। বর্তমানে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাশফাকুর রহমান জানান, স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্পিডবোট চালানোর কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দোষীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) পটুয়াখালীর কর্মকর্তা খাজা সাদেকুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার শিকার স্পিডবোটের রুট পারমিট বাতিলসহ আইনি ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।