পদ্মার বালু চুরির প্রতিবাদ, বিচার দাবিতে বিক্ষোভ
নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদী থেকে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। এ নিয়ে এলাকায় বিরাজ করছে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। এ ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) লালপুরে বালুরঘাট এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে বৈধ ইজারাদারসহ এলাকার শতাধিক মানুষ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গৌরীপুর ও লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি সশস্ত্র গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। সাধারণ মানুষ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না।
সম্প্রতি ওই ইউনিয়নে পদ্মা নদীর দিয়ার বাহাদুরপুর মৌজার ৪৫৯ একর এলাকা বালুমহাল হিসেবে ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। সে অনুযায়ী টেন্ডারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে রাজশাহীর বাঘা এলাকার সামিউল ইসলাম প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বিনিময়ে জলমহালটি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নেন।
ইজারাদার সামিউলের অভিযোগ, বালুমহালটি ইজারা নেওয়ার পর থেকে স্থানীয় আবু সাইদ টুটুলের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা চরের সন্ত্রাসী গ্রুপ বালু লুট করতে না পেরে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে থাকে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করেন ইজারাদার। মামলাটি ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমদাদুল হকের তদন্তাধীন রয়েছে।
ইজারাদার সামিউল দাবি করেন, মোটা অঙ্কের টাকা রাজস্ব দিয়ে বৈধভাবে ইজারা নেওয়ার পরও ১১ মামলার আসামি টুটুল ও তার বাহিনীর অত্যাচারে তাঁরা অতিষ্ঠ।
এদিকে, ইজারাদারের আনা অভিযোগের জবাবে আবু সাঈদ টুটুল দাবি করেন, নির্ধারিত এলাকার বাইরে থেকে বালু উত্তোলন করায় তারা বাধা দিয়েছে।
ইজারাদার এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তাঁরা যে পরিমাণ এলাকা ইজারা নিয়েছেন প্রয়োজনীয় পানি না থাকায় তাদের বরাদ্দ পাওয়া এলাকা থেকেই বালু উত্তোলনের সময় পাচ্ছেন না। এর বাইরে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তাঁরা বালুমহাল এলাকা পরিদর্শন করেছেন। নির্ধারিত এলাকার বাইরে ইজারাদার বালু কাটছেন না।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান জানিয়েছেন, এলাকার একটি গ্রুপ ইজারাকৃত এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এ নিয়ে সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ায় সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বৈধ ইজারাদার বালু উত্তোলন করছেন।