পদ্মায় না থাকলেও বাজার ভরে গেছে ‘পদ্মার ইলিশে’
চলে গেছে সময় কিন্তু এখনও আশা ছাড়েননি জেলেরা। শ্রাবণের ভরা পূর্ণিমায় ধরা পড়বে পদ্মা নদীর ইলিশ। কিন্তু তাও পড়েনি। শ্রাবণের ভরা জোয়ারও চলে গেছে। কিন্তু ইলিশের দেখা নেই পদ্মায়। কিন্তু বাজার ভরে গেছে পদ্মার ইলিশে।
গত কয়েকদিন ঢাকার খুব কাছের মাওয়া ঘাটের মাছের আড়তগুলো ঘুরে দেখা যায়, কোথাও পদ্মার ইলিশ নেই। তবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় সাইজের ইলিশ, আর দামও হাতের নাগালে। তবে কক্সবাজার, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা ও পটুয়াখালীসহ সমুদ্রের ইলিশ মিলছে বাজারগুলোতে।
এই মৌসুমে আগে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লেও এখন পদ্মা নদী থেকে জেলেরা ফিরছেন খালি হাতে। বছরের এ ভরা মৌসুমে জেলেরা মহোৎসবে রূপালি ইলিশ ধরেন। তবে পদ্মার ইলিশ না থাকলেও সমুদ্রের ইলিশে বাজার সয়লাব।
বাবু বিশ্বনাথ দাস মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. লিলেন মৃধা বলেন, ‘বাজার কিন্তু ইলিশে ভরে গেছে। এখানে দুই ধরনের ইলিশ পাওয়া যায়। একটা চাঁদপুরের আর একটা কক্সবাজারের ইলিশ। তুলনামূলক চাঁদপুরের ইলিশ কক্সবাজারের ইলিশের চাইতে দাম কম।’
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে আসা ক্রেতা মো. ইলিয়াছ বলেন, ‘আমি সব সময়ই এই আড়ত থেকে মাছ কিনে থাকি। তবে এই সপ্তাহে মাছের দাম কম। তারা চাঁদপুরের ইলিশ বিক্রি করছে। ইলিশের দাম মোটামুটি কম।’
ঢাকার বনশ্রী থেকে আসা আব্দুর রব বলেন, ‘ঢাকার খুব কাছে। আসতে ঘণ্টাখানিক সময় লাগে। তাই পদ্মার ইলিশ কিনতে আসছি কিন্তু মাছ নেই। সব চাঁদপুরের, তাই ফেরত যাচ্ছি। সামনে আসব আবার।’
মাওয়াঘাটের মাছের আড়ত সমিতির সভাপতি ও কার্তিক অ্যান্ড গণেশ দাস আড়তের স্বত্বাধিকারী ছানা রঞ্জন দাস বলেন, ‘২৯টা আড়ত রয়েছে এখানে। ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত মাছ বেচাকেনা হয়। এখন ভোলা, দৌলতখান, চাঁদপুরের ইলিশ আসছে। কক্সবাজারে ইলিশের দাম কমেছে। গত সপ্তাহ থেকে আমদানি বেড়েছে। বড় সাইজের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এক কেজির নিচের মাছ ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে আর এক কেজির উপরে দেড় কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। হয়তো অনেককেই মিথ্যা কথা বলে ‘পদ্মার ইলিশ’ বলে চাঁদপুরের ইলিশ বিক্রি করছে। তবে পদ্মায় ইলিশ না পাওয়া গেলও বেলে, টেংরা, চিংড়ি মাছ প্রচুর মাছ পাওয়া যাচ্ছে।’