পদ্মায় পানি বৃদ্ধি : ভাঙন ঝুঁকিতে ৩৫০ পরিবার

Looks like you've blocked notifications!
ফরিদপুরে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চরভদ্রাসনের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী ও লোহারটেক কোলের সংযোগ বাঁধে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ছবি : এনটিভি

ফরিদপুরে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র স্রোত। আর এই স্রোতের কারণে নদীরক্ষা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। পদ্মা নদীবেষ্টিত ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী এলাকায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর লোহারটেক কোলের সংযোগ বাঁধেও দেখা দিয়েছে ভাঙন।

এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে অস্তিত্ব সংকটে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়টি। এর সঙ্গে এলাকার প্রায় সাড়ে তিনশ পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির ত্রপা ভাঙনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইউএনও বলেন, ভাঙন এলাকায় কিছু বস্তা পানির স্রোতে বিলীন হয়ে গেছে। তবে সেখানে পুনরায় বালুর বস্তা ফেলানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, গতকাল সোমবার দুপুর থেকে ভাঙন দেখা যায়। চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে নদীর বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালুভর্তি জিও ব্যাগের ডাম্পিং করা প্রায় ১০ মিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, পদ্মা নদী ও লোহারটেক কোলের সংযোগস্থলে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। এর পরই পানিতে বালুভর্তি ডাম্পিং করা জিও ব্যাগ নদীতে তলিয়ে যেতে থাকে। বাঁধের কাজ শুরু হওয়ায় তাদের আশা ছিল আর হয়তো ভাঙবে না। কিন্তু হঠাৎ ভাঙন দেখা দেওয়ার পর চিন্তায় পড়ে গেছে ওই এলাকার বসবাসরত মানুষ।

এ ব্যাপারে চর হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজাদ খান জানান, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রায় সাড়ে তিনশ পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভাঙনরোধে কাজ চলছে। বালু ভর্তি জিও ব্যাগের ডাম্পিং করা হচ্ছে। এক একটি বালু ভর্তি জিও ব্যাগের ওজন প্রায় ৩০০ মণ। তাও ফেলার সঙ্গে সঙ্গে নিচের দিকে দেবে যাচ্ছে। কাজের পরিমাণ ও গতি বাড়াতে হবে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থপ্রতিম সাহা বলেন, ভাঙনরোধে কাজ চলছে। সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে ২০০ মিটার স্থায়ী বাঁধের কাজটি পুরোপুরি সম্পন্ন করা যায়নি। এ বছর পূর্ব সতর্কতামূলক প্রকল্প এলাকা ঢালু করে তার উপর জিও ব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছে। ওই স্থানে ভাঙনের খবর তিনি পেয়েছেন। পদ্মা নদীর ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।