‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও জনসভা ঘিরে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা’
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মাদারীপুরের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (বাংলাবাজার) ঘাটে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাবসহ বিপুল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
আজ শুক্রবার জনসভাস্থল পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামিম ও আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। পরিদর্শনের সময় তাঁরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংবাদপত্রে জারি করা ট্রফিক নির্দেশনা সবাইকে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আপনারা জানেন সেতু মন্ত্রণালয়ের একটা নিরাপত্তা কমিটি আছে, তারা কাজ করছে। আমরাও সর্বশেষ নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখতে এসেছি। আমাদের সঙ্গে গোয়েন্দা সমন্বয় রয়েছে। এ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানটি আমরা নিরাপদে পালন করতে সক্ষম হবো।’
আগামীকাল শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু উদ্বোধন শেষে মাদারীপুরের বাংলাবাজারে বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
জনসভাস্থলে মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান উপভোগের জন্য লাখ লাখ মানুষের জন্য তৈরি করা হচ্ছে ব্যবস্থা। পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ছয় শতাধিক টয়লেট, থাকছে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা। নদীপথে আসা মানুষের জন্য তৈরি করা হচ্ছে ২০টি পল্টুন। থাকবে ৪০ শয্যাবিশিষ্ট তিনটি অস্থায়ী হাসপাতালও।
প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জনসভাস্থলের সভামঞ্চ পদ্মা সেতুর আদলে সাজানো হচ্ছে। এসব ঘিরে মানুষের মনে, বিশেষ করে পদ্মাপাড়ের মানুষের ঘরে বইছে উৎসব। নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছে সিসি টিভি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা চৌকি। পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।