পদ্মা সেতু দক্ষিণবঙ্গের অর্থনৈতিক মুক্তির সেতু : প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
মাদারীপুরের শিবচরে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। ছবি : এনটিভি

পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।

মাদারীপুরের শিবচরে নূর-ই আলম চৌধুরী অডিটোরিয়ামে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শিবচর শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এসব কথা বলেন। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী পদ্মা সেতুর বিভিন্ন উপকারী দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ পদ্মা সেতু নিয়ে বলেন, প্রবাসীরা আমাদের জন্য যা করছেন, তা আমরা মুখে বলি। আমরা দেখাই যে পদ্মা সেতু আমাদের বৈদেশিক মুদ্রাতেই হচ্ছে। কিন্তু আমাদের আরও পদ্মা সেতুর মতো সেতু তো দরকার আছে। একটা পদ্মা সেতু দিয়ে তো আর আমাদের হবে না। সেই হিসাব করে আমরা যাতে আরও রেমিটেন্স আনতে পারি, সেজন্য আমাদের মন্ত্রণালয়ের কাজ আরও বাড়াতে চাই।

চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আগামী ২৫ জুন শিবচর আসবেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতু এখন আর শুধু স্বপ্নের সেতু না। পদ্মা সেতু হচ্ছে আমাদের দক্ষিণবঙ্গের অর্থনৈতিক মুক্তির সেতু।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীনের সভাপতিত্বে এ সময় জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহিদুল হক, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, জেলা পরিষদের প্রশাসক মুনির চৌধুরী, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আ. লতিফ মোল্লা, পৌরসভার মেয়র মো. আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম রকিবুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ শাজাহান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী শিবচরের দত্তপাড়ায় স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর (দাদা ভাই) কবর জিয়ারত এবং মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন। পরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ঘুরে দেখেন।