পদ্মা সেতু : সন্ধ্যা থেকে জাজিরা প্রান্তে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট
পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে সন্ধ্যার পর থেকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে ঢাকামুখী যানবাহনগুলোকে ৫০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে টোল দিয়ে সেতুতে উঠতে হচ্ছে।
জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে থেকে সংযোগ সড়কের নাওডোবা জমাদ্দার মোড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় ঢাকামুখী যানবাহনের জটের কারণে দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রী–চালকেরা।
গত সোমবার ঈদুল আজহার ছুটি শেষ হয়েছে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে ওই দিন বিকেল থেকে কর্মস্থলে যোগ দিতে মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। যাত্রী ও চালকেরা জানান, সারা দিন যানবাহন নিয়ে সেতু পারাপার হলেও রাতে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। গত সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার সামনে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। গভীর রাতে যানজট কমে যায়।
পদ্মা সেতু দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করে। আগে মানুষ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-জাজিরা নৌপথে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটে চলাচল করতো। এখন পদ্মা সেতু থাকার কারণে সার্বক্ষণিক যাতায়াতের সুযোগ হয়েছে। এ কারণে সারা দিন বাড়িতে সময় কাটিয়ে অথবা প্রয়োজনীয় কাজ শেষে সন্ধ্যার পর ঢাকায় রওনা দিচ্ছেন দক্ষিণের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা।
অপর দিকে, রাতে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে বেশি। তখন একসঙ্গে অনেক যানবাহন টোল প্লাজার সামনে আসে।
জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজায় ছয়টি বুথে যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়। একেকটি যানবাহন থেকে টোল আদায় করতে ৪০ থেকে ৫০ সেকেন্ড সময় লাগে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী পার্থ সারথি বিশ্বাস বলেন, সারা দিন টোল প্লাজা দিয়ে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করে। সন্ধ্যার পরই যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। আবার রাত ১২টার দিকে যানজট কমে আসে।
পার্থ সারথি বিশ্বাস বলেন, গত সোমবার থেকে জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজায় এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে।